• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

৩ কিলোমিটার রাস্তা খালের পেটে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

বাসন্ডা খালের ভাঙ্গনে পশ্চিম পাড়ের কিস্তাকাঠি আবাসন থেকে বাদামতলী খেয়া ঘাট হয়ে বাসন্ডা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার যাতায়াতের পথ বিলীন হয়ে গেছে।

এতে ঝালকাঠি পৌরসভার ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের কিফাইতনগর ও বাসন্ডা নিয়ে পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার শতাধিক পরিবার পথের অভাবে চরম দুর্ভোগ নিয়ে বসত বাড়িতে যাতায়াত করছে।

এলাকার মানুষ একাধিক স্থানে সেচ্ছাশ্রমে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরী করে কোন রকম চলাচল করছেন।

ওই এলাকার শতাধিক পরিবারের অভিযোগ পূর্বের নির্বাচিত মেয়ররা এই সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি এলাকার বর্তমান কাউন্সিলর এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

তাই এলাকাবাসির দাবি বর্তমান মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিবেন।

পশ্চিম ঝালকাঠি এলাকার বাসন্ডা খাল পাড়ে গিয়ে দেখা যায় , হাঁটার পথ খালে বিলীন হয়ে স্বাভাবিক জোয়ারের পানি প্রবেশ করে মানুষের বসত ভিটা তলিয়ে যাচ্ছে। খাল পাড়ের কোথায় সামান্য কিছু হাঁটার পথ থাকলেও অনেক স্থানেই মাটির পথ পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার নারী-পুরুষ প্রায়ই বিভিন্ন অংশে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সাঁকো তৈরী করে হাঁটা চলার পথ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে লবণ শ্রমিক জলিল মাঝি বলেন, ‘আমরা ঝালকাঠির বর্ধিত পৌর এলাকার নাগরিক হলেও আমাদের  হাঁটা-চলার কোন সড়ক নেই। বাসন্ডা খালের ভাঙ্গন না থামায় নদীর পাড় ভেঙ্গেই চলছে। আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে বাঁধ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে এভাবে কত দিন চলব জানি না।’

গৃহিণী বেলা রানী পাল বলেন, ‘নির্বাচন এলেই আমাদের সবাই প্রতিশ্রুতি দিলেও মেয়র-কাউন্সিলররা নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে সড়ক নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়না। পূর্বের অনেক জনপ্রতিনিধি আমাদের এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন দেখিনি।’

মাটির হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা দেবাশিষ পাল বলেন, ‘ আমাদের কোন সড়ক না থাকায় রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যেতে পারি না। মাটির আসবাবপত্র পোড়ানোর তাফাল ঘর একবার ভিতরে সরিয়ে এনেছি। নদী ভাঙ্গনের কারণে আবার তাফাল সরিয়ে নিতে হবে। ’

এ ব্যাপারে মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, ‘পশ্চিম ঝালকাঠির কিস্তাকাঠি আবাসন প্রকল্প থেকে সরাসরি বাসন্ডা সেতু পর্যন্ত নদীর পাড় হয়ে একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা