• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তিস্তার ভাঙনে সব হারাচ্ছে মানুষ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০১৯  

থামেনি তিস্তার ভাঙন। অসময়ে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে আধাপাকা ইরি বোরো ধান এবং চলতি মৌসুমের নানা প্রজাতের উঠতি ফসলসহ বসত বাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে টানা নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। ভাঙনের তৃতীয় দফায় গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শতাধিক একর ফসলি জমি ও শতাধিক বসত বাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি।

উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তানদী এখন মরায় পরিণত হয়েছে। তিস্তার বুক জুড়ে এখন ধু-ধু বালুচর।

পলি জমে তিস্তার মূলনদী একাধিক শাখায় পরিণত হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতের কারণে উজানের ভাঙনে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারহ ও বসতবাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে।

বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে ইরি বোরো ধান, বেগুন, পিয়াচ, মরিচ, ভুট্টা, কুমড়া, গমসহ নানাবিধ আধাপাকা ও উঠতি ফসলের সমাহার দেখা দিয়েছে। কিন্তু সর্বনাশা তিস্তা সেসব ফসল ঘরে তুলতে দিচ্ছে না।

কথা হয় কাপাসিয়া ইউনিয়নের বোচাগাড়ি গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, তিস্তার ভাঙনে চরাঞ্চলবাসী দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ সময় নদী ভাঙার কথা নয়। অথচ গত তিন মাস থেকে দফায় দফায় নদী ভাঙন চলছে। যার কারণে কাপাসিয়া ইউনিয়নের প্রায় হাজারও বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, চরের মানুষ তরিতরকারির আবাদ করে ৬ মাস সংসার চালায়। কিন্তু এ বছর নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় কৃষকরা মাথায় হাত দিয়ে বসেছে।

কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, নদী ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া নদীভাঙন রোধ করা কোন ক্রমে সম্ভব নয়। কারণ দীর্ঘদিন ধরে পলি জমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি তিনি জানেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোডের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান, নদীভাঙন রোধ একটি দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা। তবে নদী সংরক্ষণের ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।   

এদিকে গত ২০ মার্চ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

তিনি কুড়িগ্রাম থেকে নৌ-পথে স্প্রিড বোর্ডে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কাপাসিয়া ইউনিয়নের কছিম বাজার খেয়াঘাটে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এক জনসভায় বক্তব্য রাখেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি পরিদর্শন করে গেলাম। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা