• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

আজকের খুলনা

ডুমুরিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উৎসবমুখর নির্বাচনের দিকে হাঁটছে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২৪  

ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চারিদিকে এখন উৎসবের আমেজ।  প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের দিকে হাটছে উপজেলাবাসী। কে হবেন উপজেলার অভিভাবক তা নির্ধারণ করবে ২ লাখ ৭৩ হাজার ১১৪ ভোটার। রাত পোহালে আগামীকাল রোববার ভোট খুলনা জেলা সর্ববৃহৎ উপজেলা ডুমুরিয়ায়। 
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৩ হাজার ১১৪জন। কেন্দ্র ১০৮টি। বুথের সংখ্যা ৭৪২। তবে নির্বাচন ঘিরে এখনও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা শোনা যায়নি। ইতোমধ্যে প্রশাসনের তরফ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল আমিন। 

তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসব মুখর নির্বাচনে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন ও ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন। সারা দেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ডুমুরিয়ায়  সকল কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে উপজেলা প্রশাসন ইতিপূর্বে মাঠে অনেক কাজ করেছে, এখনও করছে এবং ভোটের মাঠে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে আজ শনিবার সকাল ৮ টায় প্রচারণা শেষ। তাই শেষ মুহূর্তে প্রত্যেক প্রার্থী সকল প্রকার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ে নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় ভোটের হিসেবে নিকেশ লন্ড-ভন্ড হয়ে গেছে। অনেক প্রার্থীর কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। অনেকে সুবিধাজনক অবস্থা ফিরে পাওয়ায় মুচকি হাসছেন। 
অধিকাংশের মতে গেল ২৯ নভেম্বর নির্বাচন হলে সবচেয়ে সুবিধায় ছিলেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এড. মুনিমুর রহমান নয়ন। তবে পিছিয়ে যাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাচ্ছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী গাজী এজাজ আহমেদ ও মটর সাইকেলের প্রার্থী আজগর বিশ্বাস তারা। 
বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও সিংহভাগ নেতা-কর্মী নয়নের পক্ষে কাজ করছিলেন। তবে গত বুধবার যুবদল নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ, মিছিল এবং পথসভা করায় অনেক বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থক বেকায়দায় পড়েছেন। শেষ মুহূর্তে অনেকে কঠোর অবস্থান থেকে ফিরে এসেছেন। ফলে ভোটের মাঠে আনারস প্রতীকের ওপর এর প্রভাব পড়ছে বলে কেউ কেউ মত দিচ্ছেন। তবে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও তার অভিভাবকরা এসবকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। তাদের মতে নির্বাচন ফিছিয়ে যেয়ে তারা আরও বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন।  
অন্যদিকে নির্বাচনে পেছানোর কারণে ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে মাঠে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগসহ ছুটিতে আসা বিভিন্ন এলাকার চাকুরিজীবিরা। 
এদিকে রংপুরসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আজগর বিশ্বাস তারার মটর সাইকেলের অবস্থাও বেশ ভাল। ইতোমধ্যে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে নানা শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ ভোটারদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।   
এদিকে নির্বাচনে শুরুতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শারমিনা পারভীন রুমার কলস প্রতীক বেশ শক্ত অবস্থানে ছিল। কিন্তু নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় শিলা মন্ডলের ফুটবল প্রতীকের অবস্থা বেশ জোরালো হয়েছে। এবারের নির্বাচনে কলস প্রতীকের প্রার্থীর বাবা, কাকা, আম্মাসহ পরিবারের সকল সদস্যকে ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে। ইতোপূর্বে ডুমুরিয়ার মানুষ এমনটি কখনও দেখেনি। তবে ছোট চাচা শাহাজান জমাদ্দার তার শ্যালক নয়নের পক্ষে কাজ করায় কলসের ওপর এর প্রভাব পড়ছে।  ফলে কলস ও ফুটবল প্রতীকের মধ্যে বেশ লড়াই হবে বলে অনেকের ধারণা। 
অপরদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ৪ প্রার্থীর মধ্যে ভোট পিছিয়ে যাওয়ায় গাজী আব্দুল হালিমের টিয়া পাখি এবং প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষের তালা প্রতীকের সাথে লড়াই বেশ জমে উঠেছে। সমান তালে গণসংযোগে রয়েছেন শেখ শাহীনুর রহমান শাহীনের চশমা ও অভিজিৎ রায় অভির টিউবওয়েল প্রতীক। সব মিলিয়ে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের দিকে হাঁটছে ডুমুরিয়ার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা