• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কয়রায় প্রথমবারের মতো ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে হচ্ছে ধান চাষ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২৩  

খুলনার কয়রা উপজেলার বিস্তীর্ণ জমি একত্রিত করে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে আমন ধানের চাষাবাদ। ধানের বীজতলা তৈরি থেকে শুরু করে চারা রোপন ও ধান কাটা সবই হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘সমলয়’। এতে শ্রমিক নির্ভরতার পাশাপাশি কমবে চাষির উৎপাদন ব্যয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সমলয় পদ্ধতিতে ৫০ একর বা ১৫০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় কয়রার সমলয় পদ্ধতির চাষাবাদ উদ্বোধন করেন খুলনা -৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান। উপজেলার হাতিয়ারডাঙ্গা এলাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সমলয় পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদের যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। কৃষক শুধু খেতে পানি ও পরিচর্যা করবেন। এ প্রকল্প থেকে আধুনিক চাষাবাদের ধারণা পাওয়া যাবে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম খরচে বেশি ফলন ফলানো যাবে। কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর খুলনা জেলার মধ্যে প্রথমবারের মতো কয়রার হাতিয়ারডাঙ্গা ও কিনুকাঠি গ্রামের ৭২ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে প্রচলিত রীতির বাইরে প্লাস্টিকের ট্রের মধ্যে জৈবসার ও মাটি ভরে লাগানো হয়েছিল ধানের বীজ। এখন রাইস ট্রান্সপ্ল্যাটার মেশিন দিয়ে ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। একটি মেশিন এক ঘণ্টায় এক একর জমিতে চারা লাগাতে পারে। এতে শ্রমিকের খরচ কমবে। একই সময় রোপণ করায় নির্দিষ্ট এলাকায় সব ধান পাকেও একই সময়। একারণে মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে ধান কাটা ও মাড়াই করা যাবে। হাতিয়ারডাঙ্গা গ্রামের কৃষক দেবাশীষ সরদার বলেন, আমন ধান চাষাবাদে আগে কখনো ট্রেতে ধানচারা করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমবার ট্রেতে ধানের চারা উৎপন্ন করে মেশিন দিয়ে রোপনও শুরু করেছে। ফলনও শুনছি বেশি হবে। তা ছাড়া বিনামূল্যে ধানের বীজ, সার ও বপন সুবিধা পেয়ে কৃষকরা খুশি। কয়রার কিনুকাঠি গ্রামের কৃষক রনজিৎ কুমার বলেন, এবারই প্রথম আমাদের বিলে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে। আগে কাঁদা-পানিতে বীজতলা তৈরি করতে ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক লাগতো। এবার সব মেশিনে হচ্ছে। অনেক শ্রমিক খরচ বেঁচে গেছে। আমাদের দেখাদেখি অনেকেই এ পদ্ধতি গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ বলেন, সমলয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমানো। আমরা কয়েকধাপে বীজতলা তৈরির কাজ শেষে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে চারা রোপণ শুরু করেছি। ধান পাকলে কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কেটেও দেয়া হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা