• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনা কয়রায় ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলা শুরু

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২২  

আম, জাম, লিচু, পেয়ারা, গাছের চারা সাজিয়ে বসেছে স্টলে। অনেক গাছে ঝুলছে আম ও পেয়ারা। আর রয়েছে ঔষধি বৃক্ষ সহ নানান জাতের ফুলের চারা। হরেক রকমের চেনা-অচেনা ফলাদি, ঔষধি ও ফুলের গাছ নিয়ে শুরু হয়েছে কয়রায় বৃক্ষ মেলা।

খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী কাছারিবাড়ী এলাকায় সোমবার বিকেল ৪ টায় ১০ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম। কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে বৃক্ষ মেলা । ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে । মেলায় দেড় শতাধিক দোকান বসেছে। তবে মেলার নাম বৃক্ষমেলা হলেও এতে গাছের চেয়ে অন্যান্য সামগ্রীর স্টল বসেছে বেশি। পুরো জায়গা জুড়ে বসেছে মনোহারি পণ্য, লৌহজাত দ্রব্য, বাঁশ ও বেতের পণ্যের দোকানসহ বিভিন্ন নার্সারি। এছাড়া দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে বসেছে নাগরদোলা ও দোলনা নৌকা।

তবে মেলায় জুয়া, হাউজি, লটারি, র‌্যাফেল ড্র, লাকি কুপন, ফড়, চরকি, অশ্লীল নৃত্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলার মাঠে গাছের স্টল গুলিতে শুধু ফুল বা ফল নয়, বনজ আর ঔষধি গাছেরও ছড়াছড়ি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মেলায় ফলদ গাছের চারার পাশাপাশি অন্যান্য গাছের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া লেবুগাছেরও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। গোলাপ, বেলি, রঙ্গন ফুলের চারাও ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। তাঁরা আরও জানান, প্রথম দিনেই ক্রেতাদের মোটামুটি সাড়া পাওয়া গেছে।

মেলায় অংশ নেওয়া মদীনা নার্সারির স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম জানান, তাঁর নার্সারিতে কমপক্ষে ১০০ প্রজাতির ফলদ, ঔষধি ও বনজ গাছের চারা রয়েছে। এগুলোর দাম ১০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

মেলার উদ্বোধনী দিনেই এসেছিলেন কয়রার মহেশ্বরীপুর এলাকার বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঘুরে ঘুরে দেখেছি। কিছু ফলের চারা কিনব বলে স্থির করেছি। ভাবছি ছুটির দিনে স্ত্রী-মেয়েকে নিয়ে পুনরায় মেলায় আসব। মেয়েকে এসব চেনা-অচেনা গাছগুলো দেখাব।’

মেলায় আসা শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকার পলাশ, নাজমুল, মনির হোসেন জানান, তাঁরা এতোদিন মেলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এখানে গৃহস্থলী জিনিসপত্র অনেক কম দামে কেনা যায়। পাওয়া যায় সব ধরণের জিনিসপত্র।

কয়রা সদর থেকে আসা আক্তারুল ইসলামক বলেন, গাছের চারা কিনতে এসেছিলেন তিনি। তবে গাছের চারা অন্য জিনিসপত্রের তুলনায় কম উঠেছে।

উত্তর বেদকাশীর নিমাই মন্ডল জানান, ছেলেমেয়ে ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে মেলা দেখতে ও কেনাকাটা করতে এসেছেন। মেলা উপলক্ষে দূরের আত্মীয়স্বজন এক দিন আগে চলে এসেছেন তাঁদের বাড়িতে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মেলা চলাকালীন ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানার ওসিসহ ২১ জন আহত হয়। সেই ঘটনার পরে বন্ধ হয়ে যায় কাছারিবাড়ী বৃক্ষমেলা। দীর্ঘ কয়েক বছর পর রেওয়াজ অনুযায়ী মেলাটি আবার চালু হয়েছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা