• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

চুনকুড়ি নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২২  

খুলনার দাকোপ উপজেলার পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাটে চুনকুড়ি নদীর উপর ৮’ শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে ‘চুনকুড়ি সেতু’। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা যায়।

সূত্রমতে, গল্লামারী- বটিয়াঘাটা- দাকোপ- নলিয়ান ফরেস্ট (জেড-৭৬০৬) সড়কের ২৮ তম কিলোমিটারে চুনকুড়ি নদীর উপর পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাটে ‘চুনকুড়ি সেতু’ নির্মাণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। খুলনা সড়ক বিভাগের আওতায় পরিকল্পনাধীন কাজ সমূহের বিবরণীতে সেতু নির্মাণের এ প্রকল্পটি ২ নং তালিকায় রয়েছে। কুয়েত ফান্ড অব আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সেতুটির নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়েছে। প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ২৩৪ মিটার এবং প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮’শ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির ডিপিপি তৈরী করা হয়েছে।

চুনকুড়ি নদীর উপর ‘চুনকুড়ি সেতু’ নির্মাণ প্রকল্পের উপর সর্বশেষ গত বছরের জুন মাসের শেষের দিকে খুলনা সওজ এর এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্তের আলোকে কিছু ব্যবস্থা গৃহীত হয়। গৃহীত ব্যবস্থার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ

সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ফান্ডের জন্য যথাশীঘ্র ইআরডিতে পত্র প্রেরণ করা হবে। পত্রে আলোচ্য প্রকল্পের বিপরীতে অতিরিক্ত পিএ অর্থের যোগান না হলে জিওবি অর্থায়নে ঘাটতি পূরণ করা হবে। পরিকল্পণা উইং কর্তৃক পূর্ববর্তী সভার পর্যালোচনা অনুযায়ী ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে। এতে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাতে ৩০ লাখ টাকার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশিক্ষণের জন্য ১২ দশমিক ৫০ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ট্রাফিক বিবেচনা করে ভৈরব সেতু ন্যায় টোল প্লাজার জন্য ৫’শ লাখ টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে এবং (Appendix -H) সেতু ডিজাইনের সময় নদীর মাঝে যাতে পিলার না পড়ে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সেতুর উচ্চতার ক্ষেত্রে BIWTA কর্তৃক ২০১২ সালে Navigation Clearence নেওয়া হয়েছে। উভয় নদীই Class -1 Catagory -ভূক্ত। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ Vertical Clearence Horizontal Clearence BIWTA কর্তৃক প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পের ইনভারমেন্টাল ইমপেক্ট এ্যাসেসমেন্ট (EIA) করা হবে। EIA লিষ্ট কষ্ট মেথডে না করে কিউসিবিএস মেথডে সম্পাদন করা হবে।

গল্লামারি- বটিয়াঘাটা- দাকোপ- নলিয়ান ফরেস্ট (জেড-৭৬০৬) মূল জেলা সড়কটি ১৮ ফিট চওড়া এবং প্রস্তাবিত ব্রিজ অ্যাপ্রোচ রোড ৩২ ফিট প্রস্থ হওয়ায় সার্ভিস রোড ১৮ ফিট প্রশস্ত রাখা হয়েছে।

সেতুটির ডিজাইনের সময় ডিজাইন লাইফ নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পরিবর্তে বাস্তবতার নিরিখে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় করা হবে।

জানা যায়, দাকোপ উপজেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি চুনকুড়ি নদীর উপর সেতু নির্মাণের। চুনকুড়ি নদীর উপর পোদ্দারগঞ্জ ফেরিঘাটে ‘চুনকুড়ি সেতুটি’ নির্মিত হলে দাকোপ এবং বটিয়াঘাটা উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষ উপকৃত হবে। বিভাগীয় শহর খুলনাসহ রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। অর্থনৈতিকভাবে এ অঞ্চলের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভাগীয় শহর খুলনাসহ রাজধানী ঢাকায় সরবরাহ করতে পারবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা