খুলনায় আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৮

খুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

ঘাটভোগ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন একই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাধন কুমার অধিকারী ও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনারস প্রতীকের মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে মিজান। বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কয়েকদিন আগে মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে মিজানকে আওয়ামী লীগ থেকে অস্থায়ী বহিস্কার করা হয়ে।

আজ শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ইউনিয়নের গোয়াড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এতে ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

তারা হলেন, মো: রফিক শেখ (২২) , মোস্তফা শেখ (২৪), লিমন সরদার (২২), মো: ফকির (২৩), মোসা মুন্সি (৩০), মো: কাঞ্চন শেখ (২৫), শিপন (২৪) ও আনিচুর শিকদার (৪২)। তারা সবাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের সমর্থক।

মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আজ সন্ধ্যায় আমি ৭০ থেকে ৮০টি মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল করছিলাম। গোয়াড়া স্কুলের সামনে থেকে যাওয়ার সময়ে মিছিলের মিছল থেকে ১০-১২টি মোটরসাইকেল আটকে রাখে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাধন কুমার অধিকারী ও সমর্থকরা। ওই মোটরসাইকেলগুলোতে থাকা আমাদের কর্মীদের তারা বেড়ধক মারপিট করে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে আমরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।  সেখান থেকে আমাদের কর্মীদের উদ্ধার করে রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থনীয় কয়েকটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাধন কুমার অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমি আজ সারাদিনই অন্য একটি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন খবর নেই।’ বলেই তিনি ফোনটি কেটে দেন।

রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া তাছনিম বলেন, ‘ঘাটভোগ ইউনিয়নে একটি সংঘর্ষের খবর পেয়েছে। সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন। তিনি ব্যবস্থা নিবেন।’

উল্লেখ্য, খুলনার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আজ ছিল ওই ইউনিয়নের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন।