• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পাইকগাছা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ‘সুখের মেলা’

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১  

“মুজিব বর্ষে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না”। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার এই ঘোষনায় সারা দেশের ন্যায় খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় ৫২০ পরিবার মুজিববর্ষে রঙিন ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখেই আছেন। এদের মধ্যে আবার অনেক পরিবার হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল পালন করে বাড়তি আয় করে নতুনভাবে জীবন শুরু করেছেন।  তবে পানীয়-জল, বিদ্যুৎসহ ছোট-খাটো যেসকল অসুবিধা রয়েছে সেগুলো অচিরেই সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।

মুজিব শতবর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দুটি ধাপে খুলনা জেলার উপকুলবর্তী পাইকগাছা উপজেলায় ৫২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ জানুয়ারী প্রথম পর্যায়ের ২২০টি এবং ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের ৩০০ ঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনীর মধ্যদিয়ে এলাকার দুস্থ ও ভূমিহীনদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ শতক জমি, জমির দলিলসহ এসব ঘর হস্তান্তর করা হয়।

অন্যান্য দুস্থ ব্যক্তিদের ন্যায় এখানে ঘর পেয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের ৩ জন। আবাসনে বসবাসরত পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক মিল। দেখে মনে হয় যেন সুখের মেলা বসেছে। অবসর সময়ে এক পরিবার আরেক পরিবারের সাথে গল্প করে সময় পার করছেন। অনেক পরিবার আবার বাড়তি আয়ের জন্য হাঁস-মুরগী ও গরু-ছাগল পালন করছে। দেখে বুঝার উপায় নেই কিছু দিন আগে এরা গৃহহীন কিংবা দুস্থ-অসহায় ছিল।

তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন জানায়, সমাজে তারা অনেক উপেক্ষিত ছিল। তাদেরকে কেউ ঘর ভাড়া দিতো না। এখানে ঘর পেয়ে তারা অনেক খুশি। এখানে সুখেই আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারা চির কৃতজ্ঞ।

এছাড়া ঘর পেয়েছেন কয়েকজন বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী। তারা জানিয়েছেন, আর কতদিন বাঁচবো জানিনা। তবে জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে এমন সুন্দর ঘরে থাকতে পারবো এ আশা ছিল না। বৃদ্ধ বয়সে পরিবার নিয়ে রঙিন ঘরে সুখের সাথে বসবাস এটি অনেকটাই দুঃস্বপ্নের মত মনে হলেও এটাই সত্যি, এটাই বাস্তব। আমরা অনেক ভাল আছি, অনেক সুখে আছি। মুজিবরের মেয়ে হাসিনা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী না হতো তা হলে হয়তো এমন সুখ আমাদের কপালে জুটতো না। আমি ও আমার পরিবার নামাজ পড়ে হাসিনার জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন তাকে ভাল রাখে এবং তার পিতাকে বেহেস্ত নছিব করে।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, এতো অল্প সময়ের মধ্যে ৫২০টি ঘর নির্মাণ করা অনেক কঠিন ও চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে ঘরের জন্য যে সরকারি জমির প্রয়োজন ছিল তা চিহ্নিত করা এবং দখল মুক্ত করা অনেক কঠিন ছিল। এরপরও নানা প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে হৃদয়ে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের গৃহনির্মাণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করেছি। দেশের একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর এমন মানবিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।

তিনি জানান, সকলের সহযোগিতায় নিজের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে একটি সুন্দর আবাসন নির্মাণ করার চেষ্টা করেছি। পানীয়-জল, বিদ্যুৎসহ ছোটখাটো যে সকল অসুবিধা আছে সেগুলি চলতি মাসের মধ্যে সমাধান করা হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা