• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

দিঘলিয়ার করোনা শনাক্ত বাড়ছে, চলছে লকডাউন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২১  

খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় কোভিড -১৯ এর ভয়াবহতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র যৌথভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। উপজেলাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুল আলম।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আজ ২২ জুন পর্যন্ত অত্র উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮১ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২১০ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন পাঁচজন। ৬৬ জন হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আজ ২২ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২৯ জনের র‍্যাপিড টেষ্ট পরীক্ষা করে ৭ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। গতকাল ২১ জুন ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের পজিটিভ ধরা পড়ে।

এ দিকে উপজেলায় করোনা সংক্রমের ভয়াবহতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণী এক সভা গতকাল ২১ জুন উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহাবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রধান অতিথী হিসাবে সংযুক্ত থেকে করোনাকালীন এই দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনকে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং তার পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগীতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাহাবুবুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আলী রেজা বাচাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় উপজেলায় করোনার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে কর্ম পরিকল্পা নির্ধারণ করা হয়।

এ দিকে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (২২ জুন)  দিঘলিয়া উপজেলায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে উপজেলাধীন সকল বাজার, দোকানপাট, বন্ধ রয়েছে। শহরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম ১৮ টি খেয়াটঘাট এবং ৩ টি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুধু জরুরী প্রয়োজনে, রোগী পারাপার, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পারাপারের জন্য সীমিত আকারে কঠোর স্বাস্থবিধি মেনে নগরঘাট, আড়ুয়া এবং চন্দনীহল খেয়াটঘাট খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

সকাল থেকে উপজলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহাবুবুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলীমুজ্জান মিলন, দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত টিম উপজেলাধীন বিভিন্ন হাট বাজার, খেয়াঘাটের অবস্থা সরেজমিনে তদারকি করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলাবাসীকে করোনা সংক্রান্ত সরকারী নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার এবং আগামী এক সপ্তাহ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সন্মিলিতভাবে সবাইকে উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগীতা করার আহবান জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা মোকাবেলায় শুরু থেকেই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অক্সিজেন ব্যাংক প্রস্তুতসহ ১০ বেডের করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে। আইসুলেশনে থাকা রোগীদের নিয়মিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা প্রদান করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ মাহাবুবুল আলম।

তিনি উপজেলাবাসীকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন। করোনার উপসর্গ দেখামাত্র বিলম্ব না করে সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র এসে র‍্যাপিড টেষ্ট করানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে কারো কোন পরামর্শ এবং সহযোগীতার প্রয়োজন হলে তিনি ইমারজেন্সী মোবাইল নং ০১৭৩০৩২৪৫৯৫, ডাঃ বাদল চন্দ্র দেবনাথ (এমওডিসি) মোবাইল নং নং ০১৮২৩৬৩২০৭৩ এবং ডাঃ শাহানাজ পারভীন মোবাইল নং ০১৭১১৩৪৪১৫৭ এই তিনটি মোবাইল নং যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী হিসাব রক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর মোল্যা আসাফুর রহমান সহ অন্যান্য স্টাফ, নার্স এবং ডাক্তাররা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার সাথে তাঁদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা