• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই বাটিয়াঘাটার বাজারগুলোতে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২০  

করোনা ভাইরাস সংক্রামক এড়াতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে বটিয়াঘাটা উপজেলার হাট-বাজার গুলিতে সামাজিক দুরত্ব বিনষ্ট হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারনে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক জনবসতীপূর্ণ এলাকা থেকে হাট-বাজার সরিয়ে উন্মুক্ত স্থানে স্থাপনের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রামক এঁড়াতে সরকার শুরু থেকেই নানান কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সাধারণ মানুষ এতে সাড়া দিলেও কতিপয় অসাধু ব্যক্তির কারণে সরকারী সকল গৃহীত পদক্ষেপ শিথিল হতে শুরু করে। অত:পর মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হাট-বাজার শুরু করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শৈথিলতা নিয়ে ফলাও হয়। পরবর্তীতে বেলা গড়াতে না গড়াতেই সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাদীউজ্জামান হাদীর হস্তক্ষেপে ঐ ইউনিয়নের সরকারী ৫টি হাট-বাজার অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থানান্তর করা হয়।

এর মধ্যে কাতিয়ানাংলা বাজারকে সরিয়ে তারই দক্ষিণ পাড়ে নদীর কুলে, আমতলা সড়কের উপর বাজার সরিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে, বয়ারভাঙ্গা সড়কের উপর বাজার সরিয়ে স্কুল মাঠে, আমতলা বাজার নদীর গোড়ার হাট সরিয়ে গোন্ধামারী স্কুল মাঠে এবং কায়েমখোলা হুলার হাট সরিয়ে তারই দক্ষিণ পাশে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এছাড়া প্রতিটি হাট-বাজারের দিনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্যবৃন্দ সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দিক নির্দেশনা মূলক নির্দেশনা প্রদান করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ঐ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রতিটি হাট-বাজারের দিনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ সার্বক্ষনিক উপস্থিত থেকে মনিটরিং করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।

এ দিকে উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট-বাজারে সংক্রামক ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে সময়োপযোগী বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও উপজেলা সদর বটিয়াঘাটা জলমা হাটবাটী হাট-বাজারে সংক্রামক এঁড়াতে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সাপ্তাহিক হাট-বাজারের দিন ছাড়াও প্রতিদিন সেই কাঁকডাকা ভোরে জেলা ও পার্শবর্তী উপজেলার সাতক্ষীরা, গল্লামারী, আশাশুনি, বড়দল, ডুমুরিয়া ও রূপসা উপজেলার সাধারণ দোকানদারেরা দোকান বসিয়ে সামাজিক দুরত্ব না বজিয়ে রেখে দোকান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে লকডাউনে থাকা মানুষের মাঝে সংক্রামক ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।

শুরুতে প্রশাসন ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কিছু পদক্ষেপ প্রসংশিত হলেও তাদের শৈথিলতার কারনে সাধারণ মানুষের মাঝে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ উপজেলায় এখনও পর্যন্ত কোন করোনা রোগী সনাক্ত হয়নি। সড়ক ও মহাসড়ক গুলিতে ইজিবাইক সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করায় এবং যত্রতত্র হাট-বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখায় লকডাউনে থাকা সচেতন মানুষের মাঝে অজানা এক আতংক বিরাজ করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

বাজার করতে আসা আইনজীবী অশোক বৈরাগী বলেন, এভাবে সামাজিক দূরত্ব ছিন্ন করে আমরা আমাদের নিজেদের ঝুঁকি ডেকে আনছি।

শাহীন শেখ বলেন, বাজারের চিত্র দখে মনে হয়েছে আমর হয়তো ঝুঁকিতে পড়ে গেছি।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা