• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

আজকের খুলনা

রাইসির মৃত্যু চলমান লড়াইয়ে প্রভাব ফেলবে না

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৪  

মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক স্থানে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দোল্লাহিয়ানের নিহতের ঘটনাটি নাটকীয় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এতে চলমান লড়াইগুলোতে খুব বড় প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ দেশটির পররাষ্ট্রনীতি ও যুদ্ধবিষয়ক সিদ্ধান্তগুলোতে শেষ সিদ্ধান্ত আসে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছ থেকে। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট একজন নীতি বাস্তবায়নকারী, তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নন। ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে ইরানের মৌলিক নীতিগুলো আগের মতোই থাকবে।

কারণ, সর্বোচ্চ নেতার হয়ে কাজ করতেন রাইসি। ইরানের সবচেয়ে কম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন। তবে একই সময়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু ক্ষমতার কেন্দ্রে এক ধরনের শূন্যতা তৈরি করেছে। সরকারে শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরা হয়তো এর সুযোগ নিতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করতে পারেন।

এমন সুযোগের অপেক্ষায় থাকা প্রভাবশালী ইরানি কর্মকর্তাদের কোনো ঘাটতি নাই। তারা ক্ষমতা কাঠামোর আরও ওপরে উঠতে চান। আর রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনাটি খোদ খামেনিকেই একটি পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, খামেনিকে এই ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে নেতা হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালনে কতটা সক্ষম।

গুরুত্বপূর্ণ হলো রাইসিকে খামেনির একজন সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তিনি ছিলেন অনেক অভিজ্ঞ, একজন মাওলানা, সাবেক প্রধান বিচারপতি ও একটি বড় প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান। 

মার্কিন বিশ্লেষকরা বলছেন, তাকে মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়া বা অক্ষম কিংবা মৃত- যেভাবেই বলা হোক না কেন তা ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য একটি বড় ধাক্কা।

রাইসির কারণে আড়ালে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দোল্লাহিয়ানের মৃত্যুও তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খুব সক্রিয় ছিলেন। সৌদি আরবের সাথে সফলভাবে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চুক্তিতে ভূমিকা রেখেছেন। প্রতিবেশী পাকিস্তানসহ বিভিন্ন কঠিন সঙ্কট সফলভাবে সামলে নিয়েছেন।

এই প্রাণহানি ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে হয়তো কোনো পরিবর্তন আনবে না। তবে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা মোকাবিলায় ব্যস্ত থাকার ফলে একাধিক স্থানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই থেকে ইরানের মনোযোগ কিছুটা সরে যেতে পারে। কাজ করতে হবে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে।এরপরও পশ্চামদের বিরুদ্ধে ইরানি উদ্যোগ চলমান থাকবে, এটি প্রায় নিশ্চিত।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা