• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কেএমপির সাবেক দুই এএসআই ও এক নারীর জেল-জরিমানা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২২  

খুলনা নগরীর নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে নারী দিয়ে ফাঁসিয়ে এক যুবককে আটকে রেখে চাঁদাবাজির মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ৩ জনের প্রত্যেককে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা করে জরিমান, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।  সোমবার দুপুরে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক এস এম মনিরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কেএমপির আওতাধীন সদর থানার সাবেক এএসআই সিফাত উল­াহ (৩০) সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সাবেক এএসআই মিরান উদ্দিন (৩৮) ও ১৩নং প্রান্তিকা আবাসিক এলাকা রোড নং- ৪,  মোল­া আব্দুস সালামের ভাড়াটিয়া ফাতেমা বেগম (৪৪)। এএসআই সিফাত উল­াহ খুলনা জেলার থানা তেরখাদা থানার পশ্চিম কাটেঙ্গা গ্রামের মৃত গাউসুল আজম এর ছেলে। এএসআই মিরান উদ্দিন বাগেরহাট জেলার মোল­ারহাট থানার গাংনী গ্রামের আব্দুর রকিব মোল­ার ছেলে। ফাতেমা বেগম বাগেরহাট জেলার চিতলমারি থানার কাঠিপারা গ্রামের মৃত হাশেম আলী সরদারের মেয়ে এবং মনির হোসেনের স্ত্রী। মামলার অপর আসামি  মোঃ সোহেল ওরফে আব্দুর রহিমের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার বৃষ্টি (২৫)-কে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।   

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিরালা প্রান্তিকা আবাসিক এলাকার রোড নং-৪ এর মোল­া আব্দুস সালামের ভাড়া বাড়ির ফাতেমা বেগমের ঘরে ভুক্তভোগী যুবক সঞ্জিত শীলকে এক যুবতী নারীকে দিয়ে ফাঁসিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করে এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরান। পরে ২৭ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে মুক্তি পান ওই যুবক। এ ঘটনার বিষয়ে তিনি খুলনা সদর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ফাতেমা বেগমকে গ্রেফতার করে। তার তথ্য মতে এএসআই সিফাত ও এএসআই মিরানকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সঞ্জিত শীল বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে খুলনা থানার মামলা দায়ের করেন (নং-৬০, তাং- ২৩/০৪/২০১৯)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মোঃ আল আমিন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা