• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

যশোরে ওসিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

যশোরের অভয়নগর থানার ওসিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইতে পাঠিয়েছে। গত ৩০ জানুয়ারি অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের গাজী ইউসুফ আকাশের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেছিলেন। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতের বিচারক সাহাদাত হোসেন মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম, এসআই দেবাশীষ রায় ও এএসআই কামরুজ্জামান।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, শংকরপাশা গ্রামের আমীর আলী গাজীর ছেলে আবুল কালাম ঢাকায় ঠিকাদারি ব্যবসা ও ইউসুফ গাজী আকাশ নওয়াপাড়া ববিন ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর আবুল কালাম বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরদিন এসআই দেবাশীষ রায় বাড়িতে গিয়ে জানান, আবুল কালামকে বাড়ি থাকতে হলে ওসি সাহেবকে ৫ লাখ টাকা দিতে বলেছেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এসআই দেবাশীষ ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে দিয়ে চলে যান। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ভোরে এসআই দেবাশীষ ও এএসআই কামরুজ্জামান কালামের বাড়িতে গিয়ে কালামকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে তার ভাই আকাশকে ধরে নিয়ে যায় তারা। এ সময় তারা ৫ লাখ টাকা নিয়ে থানায় ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলে। নাহলে ক্রসফায়ার ঠেকানো যাবে না। এরপর ৩০ ডিসেম্বর আকাশের বাবা স্বাক্ষীদের নিয়ে থানায় গিয়ে ওসিকে এক লাখ টাকা দেন। বাকি টাকা তিনদিনের মধ্যে দিতে অঙ্গীকার করায় আকাশকে ছেড়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন ওসি। বাকি ৪ লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আকাশকে পুলিশ ৪ দিন ধরে আটকে রেখে ১১ ডিসেম্বর তাকে চাঁদাবাজি ও বিস্ফোরক মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে চালান দেয়। আকাশ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তার স্ত্রী গত ১৯ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলা করেন।

বিচারক ওইদিন মামলাগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে আদেশ দেয়া হবে বলে জানান। এরপর রোববার বিকেলে আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা