শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ৭৫-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ নির্বাসনে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উধাও হয়ে গিয়েছিল। ‘৮১ সালে শেখ হাসিনার ফেরার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে এসেছিল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শোষণমুক্ত সমাজ সৃষ্টির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন, আর জননেত্রী শেখ হাসিনা শোষিতদের নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, যেন কোন মানুষ ঘরহীন না থাকে। করোনা মহামারি মোকাবিলার সফলতায় ‘ভ্যাকসিন হিরো’ খেতাব অর্জন, খাদ্য উৎপাদন ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেধা, প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি তাকে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পরিচিত করেছে। তাঁর প্রতিটি চিন্তায় ও ধ্যান-জ্ঞানে রয়েছে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু যেমন আজীবন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ঠিক একইভাবে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ নিজেকে বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এমন একজন প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বার বার এদেশে প্রয়োজন। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বসে নেই। তারা প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের সবাইকে সংঘবদ্ধ থেকে চক্রান্তকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে। 
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সদর থানা আ’লীগের সভাপতি এড. মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, শেখ মোঃ ফারুক আহমেদ, মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, পারভিন ইলিয়াছ, রনজিৎ কুমার ঘোষ, মোঃ শফিকুর রহমান পলাশ, নূরীনা রহমান বিউটি, বাবুল সরদার বাদল, ফেরদৌস হোসেন লাবু, মোঃ আব্দুল হাই পলাশ, এড. ফারুক হোসেন, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, এড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মোঃ সেলিম মুন্সি, মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার, মোঃ ফয়েজুল ইসলাম টিটো, অহিদুল ইসলাম পলাশ, মোঃ সিহাব উদ্দিন, সমীর কৃষ্ণ হীরা, এড. ইকবাল হোসেন, রোজী ইসলাম নদী, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, মোঃ রিয়াজ হোসেন, আব্দুস সালাম, মোঃ শহীদুল হাসান, মোঃ শরিফুল ইসলাম মুন্না, ইদি আমিন, মামনুন আহমেদ, সবনম মুস্তারী বকুল, রেখা হাসান, মাকসুদা খানম পাখি, ফেরদৌস আলম রিতা, রেজওয়ানা প্রধান, রুমা খাতুন, ইয়াছির আরাফাতসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।