৬টি উপায়ে পড়ালেখা স্মৃতিতে স্থায়ী করে রাখুন
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০
অনেকেরই একটি প্রশ্ন আছে। এত সময় দিয়ে পড়ি, সারাদিন পড়ার টেবিলে বসে থাকি, তবুও পরীক্ষার আগে পড়া ঠিকমতো মনে থাকে না কেন?
আসলে আপনি কীভাবে পড়ছেন, সেটার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। অনেকেই আপনার চেয়ে কম সময় ধরে পড়ালেখা করে পরীক্ষায় ভালো উত্তর দিয়ে আসে। তার মানে আপনি বেশি সময় ধরে পড়লেই যে পরীক্ষায় ভালো করবেন- এমন ধারণা ভুল।
আবার যারা আপনার চেয়ে ভালো করছে, তারা যে আপনার চেয়ে খুব বেশি মেধাবী এমন কথাও পুরোপুরি সত্য নয়। আসলে আপনি পরীক্ষায় কেমন করবেন অথবা পড়া কীভাবে ভালো মনে রাখবেন, সেটা পুরোপুরি নির্ভর করছে আপনি কীভাবে পড়ছেন তার ওপর।
এরজন্য আপনার গতানুগতিক পড়ার ধরন খানিকটা বদলে ফেলতে হবে। একটানা পড়ার অভ্যাস বাদ দিয়ে অভ্যস্ত হতে হবে একটু ভিন্ন কিন্তু মজার ধরনের পড়াশোনায়। এই লেখায় সেসব বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করবো।
১. খাতায় লেকচার নোট টুকে নেয়া
শুরুটা করি ক্লাসের লেকচার নোট উঠানো দিয়েই। অনেকেই আছেন ক্লাসে শিক্ষক বোর্ডে যা লিখেন, হুবহু খাতায় তুলে নিয়ে যান। শিক্ষকের বলার কিংবা বোঝানোর দিকে নজর কম দেন। এর ফলে যা হয়, সেই লেকচার নোট পরবর্তীতে আবার দেখার সময় গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো মনে পড়ে না। আপনি অনেক মনোযোগ দিয়ে খাতায় নোট নিলেও গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো মন দিয়ে না শোনার জন্য পরবর্তীতে পড়া বুঝতে সমস্যায় পড়ে যান।
এজন্য একটি ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। ক্লাসের পুরো কথা লিখে নেয়ার বদলে লেকচারের চুম্বক অংশ খাতায় লিখে নিতে পারেন। ছোট ছোট কি-ওয়ার্ড লিখে নিলে পরবর্তীতে সেগুলো মনে রাখতেও সুবিধা হয়। ক্লাসের নোট নেয়ার ধরন বদলে ফেলুন এবং শিক্ষকের লেকচারের দিকে বেশি মনোযোগী হোন।
২. বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দাগিয়ে পড়া
নতুন কোনো অধ্যায় পড়ার সময় অনেকেই যে তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, সেগুলো রঙিন কালি দিয়ে দাগিয়ে রাখেন। এতে পরীক্ষার আগে কিংবা অন্যান্য সময়ে সহজেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চোখে পড়ে।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা যেই ভুলটি করি তা হলো, প্রথমবার পড়ার সময়ই যা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, তা দাগিয়ে ফেলি। এতে দেখা যায় পড়ার পর এতো বেশি তথ্য আমরা দাগিয়ে ফেলি যে, এর মধ্যে অধিকাংশ তথ্যই থাকে অদরকারি। যার ফলে সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ঢাকা পড়ে যায়। আর অত্যাধিক তথ্য দাগানোর ফলে দরকারের সময় কোনটি সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, তা খুঁজে পাওয়া যায় না।
এই সমস্যা এড়ানোর জন্য সবচেয়ে সুন্দর পরামর্শটি হলো, প্রথমবার পুরো অধ্যায়টি কোনো দাগানো ছাড়াই পড়ে নেয়া। একবার পড়ে অধ্যায়টির ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা নেয়ার পর দ্বিতীয়বার পড়া এবং তখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো দাগিয়ে নেয়া। এতে যে সুবিধা হবে, অদরকারি বিষয়গুলো দাগানো হবে না এবং দুইবার করে পড়ার ফলে অধ্যায়টির ব্যাপারে ধারণা বৃদ্ধি পাবে।
৩. পড়ার বিষয়বস্তু কল্পনা রাখা
কোনো একটি বিষয় পুরোপুরি মুখস্ত বর্ণনা রাখা সহজ, নাকি কোনো চিত্র দেখে সেটির বর্ণনা দেয়া সহজ? ধরুন আপনি উদ্ভিদ কোষের প্লাস্টিড অংশের বর্ণনা দিচ্ছেন। এখন আপনি প্লাস্টিডের গঠন বর্ণনা করতে গিয়ে সরাসরি মুখস্ত বললে যতটুকু শুদ্ধ বলতে পারবেন বা মনে রাখতে পারবেন, প্লাস্টিডের চিত্র দেখে বললে সেখানে শুদ্ধ হওয়ার বা সঠিক তথ্য মনে রাখতে পারার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
এরজন্য আপনাকে কেবল প্লাস্টিডের চিত্রটি মনে রাখতে হবে। চিত্র দেখেই আপনি প্লাস্টিডের বহিঃত্বক, অন্তঃত্বক, গ্রানাম চাকতির বর্ণনা সব বলতে পারবেন। অন্যান্য ক্ষেত্রেও চিত্র দেখে বর্ণনা করা, মুখস্ত বর্ণনা করার থেকে সহজ।
৪. লোকি তত্ত্ব
শার্লক হোমস দেখেছেন নিশ্চয়ই। না দেখে থাকলেও সমস্যা নেই। শার্লক হোমসকে আমরা পড়ার টেবিলে বসিয়ে দিচ্ছি না। বরং তার চিন্তার ধরন নিয়ে আলোচনা করবো। যারা শার্লক ভক্ত, তারা নিশ্চই ‘মাইন্ড প্যালেস’ কথাটির সাথে পরিচিত হয়ে থাকবেন।
কোনো বস্তু বা ব্যাক্তিকে দেখার সাথে সাথেই তাকে নিয়ে শার্লকের মাথায় নানা চিন্তা চলতে থাকে। ব্যাক্তি বা বস্তুটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন তিনি। সেই সাথে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে সেটিও ভাবতে থাকেন। শার্লকের চিন্তার এই জগতকেই বলা হয় ‘মাইন্ড প্যালেস’।
তবে বাস্তবে এর আরেকটি নাম আছে। সেটি হলো ‘লোকি তত্ত্ব’। এই তত্ত্বের বিষয়বস্তু হলো, আপনি যখন কোনো বিষয় পড়তে থাকবেন, তখন আপনার কল্পনা শক্তিকেও কাজে লাগান।
ধরুন, আপনি কোনো উপন্যাস বা গদ্য পড়ছেন। তখন সেই পাঠ্যের বিষয়বস্তুর সাথে আপনার কল্পনার জগতকেও সম্পৃক্ত করে ফেলুন। পাঠ্যের বিষয়বস্তুকে একটি ছবি হিসেবে স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে পারলে, তা সহজেই মনে রাখা যায় এবং ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকে। এজন্য স্মৃতি স্থায়ী করার জন্য এই লোকি তত্ত্বের বিশেষ কদর রয়েছে।
৫. সাংকেতিক ছন্দের সাহায্যে মনে রাখা
ছোটবেলায় পরিমাপের একক শেখার সময় অনেকেই এই ছন্দের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। ‘কিলাইয়া হাঁকাইয়া ডাকাত মারিলে দেশের শান্তি মিলিবে’। এর মানে হলো ‘কিলো হেক্টো ডেকা মিটার ডেসি সেন্টি মিলি’। পরিমাপের এককগুলোর পর্যায়ক্রমিক ধারা মনে রাখার জন্য ছিল এই ছন্দের ব্যবহার। একইভাবে মুঘল সম্রাটদের ধারা মনে রাখারও একটি ছন্দ আছে। ‘বাবার হইলো একবার জ্বর, সারিলো ঔষধে’। অর্থাৎ ‘বাবর, হুমায়ূন, আকবর, জাহাঙ্গীর, শাহজাহান, আওরঙ্গজেব’। পর্যায় সারণির মৌলগুলোর ধারা মনে রাখার জন্যও এরকম ছন্দ ব্যবহার করা হয়।
এরকম ছন্দ ব্যবহারের সুবিধা হলো এতে একদিকে যেমন পড়ার মাঝে আনন্দ পাওয়া যায়, অন্যদিকে পড়াটি স্মৃতিতে স্থায়ী হয় অনেক বেশি।
৬. একই বিষয় বারবার পড়া
খুব সম্ভবত এই উপদেশটি সবজায়গায় দেয়া হয় স্মৃতিতে পড়া স্থায়ী করানোর জন্য। বারবার পড়া বলতে এটা বোঝানো হচ্ছে না যে, যা পড়েছেন সেটি একই বসায় আরও কয়েকবার পড়ুন এবং এরপর ভুলে যান। বারবার পড়া বলতে বোঝানো হচ্ছে, নতুন কোনো বিষয় বা অধ্যায় শুরু করার আগে পূর্বের বিষয় বা অধ্যায়ে কী ছিল- তা একবার দেখে নেয়া।
কোনো কিছু পড়ার পর দীর্ঘ সময় বিরতি থাকলে তা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই কোনো একটি অধ্যায় একবার পড়ার পর পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সেটি নিয়ে আর চিন্তা করেন না। এর ফলে পরীক্ষার আগে সেই অধ্যায় ভুলে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকে।
তাই পরামর্শ হলো, নতুন কোনো অধ্যায় শুরু করার আগে আগের অধ্যায়টি একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া। এর ফলে আগের পড়া একবার হলেও নতুন করে মাথায় গেঁথে যায়, যা স্মৃতিতে অধিক স্থায়ী হয়।
সময়ের ভিত্তিতে আমাদের মস্তিষ্কে দুই ধরনের স্মৃতি কাজ করে। একটি হলো ক্ষণস্থায়ী এবং অপরটি হলো দীর্ঘস্থায়ী। ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি কয়েক সেকেন্ড থেকে আপনার কাজ করা বা পড়া পড়তে থাকার সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আর দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি কয়েকদিন থেকে আপনার জীবনকাল ব্যাপীও স্থায়ী হতে পারে। ওপরের ৬টি পরামর্শের মূল উদ্দেশ্য হলো আপনার পড়াকে ক্ষণস্থায়ী স্মৃতি থেকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপান্তর করা। এর ফলে আপনার পড়া ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে অনেক কম।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহী নিহত
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা: খুবি উপকেন্দ্রে ৮৮৮৬ পরীক্ষার্থী
- খুলনা যুবলীগ সভাপতির ছাতা পেয়ে নৌকার মাঝিরা খুশি
- খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ
- ১৪৩তম খুলনা দিবস পালিত
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- আমার শরীর সুন্দর, তাই তারা পিছু ছাড়ে না : নোরা ফাতেহি
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- নিজেকে এখন প্রাণভরে দেখি : পরীমণি
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?