• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

৪০০ বার কোপানো হয়েছিলো অঙ্কিতকে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দিল্লির চলমান তাণ্ডবে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় গোয়েন্দা অফিসার অঙ্কিত শর্মার। চাঁদবাগ এলাকার ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয় অঙ্কিত শর্মার রক্তাক্ত, থেঁতলানো দেহ। তার সারা শরীরের একটা অংশও বাদ ছিল না যেখানে ধারালো অস্ত্রের দাগ নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সারা শরীরেই অন্তত ৪০০ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছিল। বেরিয়ে এসেছিল অন্ত্র। তারপরেও কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল। টানা দুই ঘণ্টা ধরে চলেছিল এই নিষ্ঠুর হত্যালীলা। এরপর দলা পাকানো শরীরটা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল নর্দমায়।

২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫ টায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অঙ্কিত। তার বাবা রবীন্দ্র জানান, কিছু জিনিসপত্র কিনে তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে বলেছিল। এরপর থেকেই ছেলের কোনও খোঁজ মিলছিল না। সন্ধ্যার দিকে কাছাকাছি খাজুরি খাস থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন তিনি। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির কাছেই একটি ড্রেন থেকে অঙ্কিতের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়।

ছেলের মত রবীন্দ্র শর্মা নিজেও গোয়েন্দা অফিসার। বলেছেন, ছেলের মৃতদেহের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। সারা শরীর কালো হয়ে গিয়েছিল। চামড়া ফেটে বেরিয়ে এসেছিল দলাদলা মাংস। এত নির্মমভাবে কাউকে হত্যা করা যায়?

শেষবার অঙ্কিতকে কাল্লু নামে একটি ছেলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল, বলেছেন অঙ্কিতের বাবা। সেই ছেলেটির খোঁজ করতেই জানা যায়, একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে চাঁদবাগের একটি ড্রেনের মধ্যে। 

রবীন্দ্র শর্মা বলেছেন, খবর পেয়েই ছুটে যাই সেখানে। প্রথমে ভাল বোঝা যাচ্ছিল না। ড্রেনের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়েছিল একটা দেহ। পরনে শুধু অন্তর্বাস। মুখটা দেখতেই হৃদস্পন্দন থেমে যায়। সারা শরীর অবশ হয়ে গিয়েছিল। গলা কাটা, রক্তাক্ত ওই দেহটা ছিল আমারই ছেলের।

ছেলের মৃত্যুর জন্য আম আদমি পার্টির নেতা তাহির হুসেনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন অঙ্কিতের বাবা রবীন্দ্র শর্মা। তার অভিযোগ, বাড়িতে ঢোকার আগেই অঙ্কিতকে ঘিরে ধরেছিল একটি গোষ্ঠীর কিছু দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মেরে, গুলি করে খুন করা হয়েছে তার ছেলেকে। আর সবটাই হয়েছে তাহির হুসেনের অঙ্গুলিহেলনে।   

বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এ দিন টুইট করে বলেন, যে বাইকে চেপে অঙ্কিত যাচ্ছিলেন, সেই বাইকের পিছনে লেখা ছিল ‘জয় শ্রী রাম’, তাই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এমন নির্মমভাবে খুন করা হয়।

সূত্র: দ্য ওয়াল

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা