• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

৩০ ডিসেম্বর রাজপথে সহিংসতার প্রকাশ্য ঘোষণা ঐক্য ফ্রন্টের

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

৩০ ডিসেম্বর আন্দোলনের নামে সহিংসতা সৃষ্টির প্রকাশ্য ঘোষণা দিলো বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় ঐক্যজোট। শনিবার সকালে নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জেএসডির জাতীয় কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘‘কাল (৩০ ডিসেম্বর) আমরা রাজপথে নামবো, কেউ বাধা দিলে লড়াই শুরু হবে, সর্বশক্তি  নিয়ে মাঠে নামতে হবে আমাদের।’’ এর আগে শুক্রবার রাজধানীতে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফন্টের সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে জাসদ নেতা আ স ম রব বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে আমরা সমাবেশ করবো, এ জন্য পুলিশ প্রশাসন কারো অনুমতির প্রয়োজন নেই আমাদের, বাধা দিলে সরকারকে তার জন্য মাশুল গুনতে হবে।‘‘

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর বিশাল শো ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। যদিও এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করার অনুমতি তারা পায়নি। শক্তি প্রদর্শনের জন্য জামায়াতের সাথে একাধিক গোপন বৈঠক করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা ড. মঈন খানসহ কয়েকজন। পূর্ব নির্ধারিত ছক অনুযায়ী রাজধানীতে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্টের কর্মী সমর্থক কম থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছদ্মবেশে জামায়াত শিবির কর্মীদের জড়ো করা হবে প্রেসক্লাবের সামনে। ঢাকার পাশ্র্ববর্তী জেলাগুলো থেকে বিএনপির নেতা কর্মীরাও আসবেন শক্তির জানান দিতে। উস্কানী দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ ও যানবাহন ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই।

শিবিরের সাথে ‘গোপন সুসম্পর্ক’ থাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলও রয়েছেন ছক তৈরীর নেপথ্যে। ইতিমধ্যে এসব পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ‘‘লন্ডন থেকে তারেক রহমান গত বৃহষ্পতিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্যকে নির্দেশ দিয়েছেন যে কোনো প্রকারেই হোক ৩০ ডিসেম্বর দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। প্রশাসন বাধা দিলে প্রয়োজনে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। এজন্য যত টাকা লাগে খরচ করা হবে। পুলিশের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে সেসব ছবি তুলে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিতে হবে।’’  

এদিকে, আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষ হতে জানানো হয়েছে, আন্দোলনের নামে কেউ নাশকতা-সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।   

 

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা