• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

হলুদ কখন খাওয়া বিপজ্জনক জানেন কি?

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২০  

অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। তাতে উপকারের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হয়। হলুদের যে হাজারো গুণ আছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ডায়রিয়া থেকে পেটের যে কোনো সমস্যা, চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধেও হলুদ সক্ষম।

তবে আপনি কী জানেন শারীরিক কোন অবস্থায় হলুদ খাওয়া ঠিক নয়? অনেক অসুখ আছে, যাতে হলুদ এড়িয়ে চলাটাই কাম্য। চলুন তবে আর দেরি না করে জেনে নেয়া যাক কোনো কোনো রোগের ক্ষেত্রে হলুদ খাওয়া নিষেধ সেই সম্পর্কে- 

ডায়াবেটিসের ওষুধ যারা খান
হলুদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবেই রক্তের সুগার কমিয়ে দেয়ার প্রবণতা রয়েছে। এটি টাইপ টু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং সুগারের মাত্রা কমাতে খাদ্য তালিকায় হলুদ রাখাকে সাদুবাদ জানানো যায়।

তবে যারা ডায়াবেটিসের ওষুধ খায় তাদের জন্য হলুদ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। এতে রক্তের সুগার অনেক কমে যেতে পারে। এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

গর্ভবতী নারী
গর্ভাবস্থায় ও স্তন দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে হলুদ খাওয়া নিরাপদ। তবে যদি গর্ভাবস্থায় হলুদের সাপ্লিমেন্ট বেশি পারিমাণ খাওয়া হয় এটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এতে অনেক সময় গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া স্তন দানকারী মায়েদের ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞরা হলুদ কম খেতে বলেন।

পিত্তথলিতে সমস্যা থাকলে
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের এক গবেষণায় বলা হয়, হলুদ পিত্তথলির সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই আপনার যদি পিত্তথলি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হলুদ খাওয়াই ভালো।

কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকলে
কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা থাকলে হলুদের সাপ্লিমেন্ট না খাওয়াই ভালো। কারণ হলুদ রাসায়নিক অক্সালেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কিডনিতে পাথর হওয়া প্রবণতা থাকলে হলুদ একটু কমিয়ে খান।

পাকস্থলীর এসিডের সমস্যায় ভুগলে
হলুদ পাকস্থলীর এসিড বাড়িয়ে দেয়। ওষুধের প্রভাব কমিয়ে দেয়। যদি এই সমস্যা থাকে তবে হলুদ খাওয়া বাদ দেয়া ভালো। আর একেবারে না পারলেও কমিয়ে দিন কিছুটা হলেও।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা