সেবার মাঝে পরার্থপরতা কই !
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯
সেবাশুশ্রূষা প্রায় সমার্থক শব্দ দুটির মধ্যে সেবা শব্দটির মাহাত্ম্য খর্ব হতে চলেছে। সেবা বলতে সাধারণভাবে বোঝা যায়, নিঃস্বার্থ উপকারের জন্য এগিয়ে আসা। তবে এই সেবা দুস্থের লালনের পরিবর্তে যদি হাতিয়ে নেওয়া বা বিনিময়ে আর্থিক লেনদেনের আগ্রহ বেশি হয়, তাহলে একে সেবা বলা যায় কি না, তা নতুন করে মানুষকে ভাবিত করে। অনুভূত হয় সেবা শব্দটির ওপর ব্যভিচার করার মতো।
আজকাল প্রায় সব শ্রেণির চাকরিকে সেবা বলার রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা হচ্ছে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। ফলে সেবা অভিধাটি মুখ লুকাবার জায়গা পাচ্ছে না। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের কাজের বিনিময়ে নির্ধারিত বেতন থাকে। যাকে ভদ্রভাবে পারিতোষিক বলে চালিয়ে দিতে চাওয়া হয়, তা সে যেভাবেই বলা হোক না কেন এটা কাজের বিনিময়। একে কোনোভাবে সেবা বলা যায় কি!
এখন পত্রপত্রিকায় লেখা হয় : ঘুষ ছাড়া সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজ হয় না। এ অভিজ্ঞতা অমূলক নয়। আবার তিক্ত রসিকতায় বলা হয় বিশেষ বিশেষ ভবনের চেয়ার-টেবিলও যেন ঘুষ চায়। আরদালি-পিওন ঘুষ না পেলে দর্শনার্থীকে উপেক্ষা করে। এ সংস্কৃতি পুরনো। তবে ধরন বদলেছে। ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের এই যে অশুভ প্রবণতা, সে সংস্কৃতি থেকে পরিত্রাণের জন্য বোধ হয় মার্কস সম্পদ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রেখে ব্যক্তির সম্পদের সীমারেখা টানার পক্ষে ছিলেন। আমরা সেসব মহাদর্শনের কথা বলব না। কারণ সে বিষয়ে আমাদের ধারণা সীমাবদ্ধ।
দৃশ্যমান সামন্ততন্ত্র পর্বের পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ চালনার যে বিধান শুরু হয়, সেখানে জনগণ রাজা-বাদশা বানায়। এই ধারায় দেশ চালনাকারীদের বলা হয় জনসেবক। এঁরা জনসেবার কথা বলে নির্বাচনের সময় সমর্থন ভিক্ষা করেন। কখনো ধর্মের পোশাকে, কখনো মতবাদের পতাকা উড়িয়ে, কখনো আবার পেশিশক্তির ব্যবহারে ক্ষমতায় বসেন। তারপর সেবা আর ধর্ম থাকে না। এ যেন নিরঙ্কুশ ভোগের অলিখিত অধিকার, অন্যতর সামন্ততন্ত্র।
সম্প্রতি এসব বিষয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি চলছে। জনসেবায় কারা আসবেন। নিঃস্বার্থ সেবা বায়বীয় কাল্পনিক ধারণা। সেবার কাজে নেমে ব্যক্তি আত্মপ্রসাদ লাভ করেন বলে সেখানে স্থিত হন। এখানেও অদৃশ্য থাকে স্বার্থ। মানুষ এ স্বার্থকে শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিত করে। তাই একদা জনসেবা বা রাজনীতির আসরে অবতীর্ণ ব্যক্তিরা বৈষয়িক প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা বড় করে দেখতেন না। তাঁদের শ্রদ্ধা-সম্মান দেখাতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতেন। এই মহৎ কর্মসাধনা কোথায়! এখন যাঁরা আসছেন, তাঁদের কাজ কারো উদ্দেশ্য বগলদাবা করা! এখন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সবাই রাজদর্শনে আসেন না। নব্য রাজাদের সম্মান দেখানোর জন্য প্রখর রোদে শিশুদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এমনকি শিশু-কিশোরদের দিয়ে ছোট্ট খালের ওপর মানব সাঁকোও বানানো হয় কোথাও কোথাও।
যার কাজ তারে সাজে বলে একটা প্রবচন আছে। এখন যার যে কাজ নয়, তাতেই সে প্রলুব্ধ। তারা সেবার নামাবলি পরে আখের গোছানোর ধান্দায় লিপ্ত। এরা কেউ কেউ ধরা পড়ছে। পত্রপত্রিকায় আসছে, কুকীর্তির সব ঘাট সেরে অবৈধ উপার্জিত অর্থের ভেট দিয়ে ক্ষমতার বাহন হিসেবে আসছে। এ কারণে অন্যায়কারী এবং তার সহযোগী সমান দণ্ডে দণ্ডিত হওয়া উচিত।
আমরা আগেই বলেছি, মেকি সেবাদানকারীরা এখন সদর্পে ঘুরে বেড়ায়। ভলতেয়ার বলেছিলেন, জনগণ পরিচ্ছন্ন হলে কৃত্রিম সেবকরা সামনের কাতারে আসতে পারত না। আসলে আমরা সত্যিকার পরিচ্ছন্ন হয়ে উঠতে পারিনি। অথচ নিজেদের সেবক ভাবছি।
চাকরি করা অবস্থায় অনেকে গাছেরটা খেয়ে তলারটা কুড়িয়ে সচ্ছল জীবন কাটিয়ে দেন। তাতে কারো কারো মন ভরে না। কয়েক পুরুষ ধরে স্বচ্ছন্দে থাকার ব্যবস্থা করতে উদ্বাহু। যোগ্য ব্যক্তিকে যথাস্থানে নিয়োগ করা হলে সেই সঙ্গে চমক সৃষ্টি করে ক্ষমতাবানদের অন্ধকার পথে আগ্রাসী হওয়ার পথ রুদ্ধ করতে পারলে অনাচার কমে আসবে এবং সেবার নামে সাধারণ মানুষের পকেট কাটতে সাহস করবে না কেউ।
সত্যিকারের সেবাদানকারী গ্রাসাচ্ছাদনের অভাব পূরণ করে জনগণ। তাতে মোক্ষ লাভের বাসনা সন্তর্পণে থাকে হয়তো, অনেক সময় তথাকথিত সেবকদের বিত্তবৈভবের পরিধি দেখে বিস্ময়ের অবধি থাকে না। এখানেও কোনো মন্তব্য করা সহজ নয়। ফলে সেসব সেবক যে অজান্তে জোঁকের মতো মূঢ় মানুষের রক্ত শোষণ করছে, তা ভেবে দেখার অবকাশ আমরা পাই না বলে সামাজিক অনাসৃষ্টিকে আসমানি বালা বলে সান্ত্বনা পেয়ে থাকি।
সামাজিক এত সব ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে হলে সত্যিকার সেবার অর্থ বোঝা দরকার। তখন ছদ্মবেশী সেবাদানকারী কোনো ব্যক্তি অন্যায় কাজে প্রলুব্ধ হবে না।
লেখক : সাবেক শিক্ষক
রাজশাহী কলেজ
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- টানা দুইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, হিট এলার্ট জারি
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- খুলনায় দেশের শ্রেষ্ঠ ২ জাতের ধান চাষে বাম্পার ফলন
- সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী আর নেই
- নগরীতে ভবন নির্মাণে মাটি খুঁড়তে গিয়ে মিললো গ্রেনেড
- বাগেরহাটে প্রাণি সম্পদ মেলা
- বিছানার ভেলায় চড়ে সদাই কিনছেন শারজাহবাসী
- সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: কাদের
- ৫ লাখ টাকায় সালমানের বাসায় গুলির নির্দেশ!
- দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- মাঠ প্রশাসন সামলাতে হার্ডলাইনে সরকার
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- এক সফটওয়্যারের আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবী
- জলবিদ্যুতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান নেপালের
- সর্বজনীন পেনশন প্রসারে ৮ বিভাগে মেলা
- হাওরে কৃষকের মুখে স্বর্ণালি হাসি
- পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটায় বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ
- মুজিবনগর দিবস : সব অপশক্তিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার
- আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- খুলনা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা
- কৃষি জমির সঠিক ব্যবহার করতে পারলে অভাব থাকবে না:রশীদুজ্জামান এমপি
- ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়ার অস্ত্র, পাশে চীনও
- জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ সমস্যা সমাধানের ২০ এপ্রিল খুলনায় নদী মেলা
- খুবিতে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- চলন্ত মেট্রোতে দুই তরুণীর রং মাখামাখি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- মসজিদের ভেতর ৫৪০ বছরের পুরোনো ‘জিনের মসজিদ’
- ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করবেন
- এ বছরের ফিতরা কত জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- বটিয়াঘাটা থেকে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- রমজান মাসে কি কবরের আজাব মাফ থাকে?
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো