সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু করবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় টার্মের ভার্চুয়াল ক্লাস চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের সাথে দুই ঘন্টার ভিডিও কনফারেন্স শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন।

এর আগে চলতি জুলাই থেকে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে যেসব ডিসিপ্লিনের প্রথম টার্মের কিছু অংশ এখনও বাকি আছে তা সম্পন্ন করার আহ্বানও জানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য সহজভাবে অনলাইনে কোর্স রেজিস্ট্রেশন এবং যেসব ক্ষেত্রে থিসিস জমা হয়েছে সেসব ক্ষেত্রে অনলাইন ডিফেন্স গ্রহণের বিষয় নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। 

এ ছাড়া আপদকালীন করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন একাডেমিক কার্যক্রম চালু করতে বিদ্যমান একাডেমিক অর্ডিনেন্সে কোনো পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংশোধন বা সংযোজনের প্রয়োজন হলে তা একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা আহবান করে সেখানে উপস্থাপন করা হবে। কনফারেন্সে অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চালু করতে শিক্ষকদের জন্য স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।

উপাচার্য বলেন, বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে শিক্ষা সেক্টর স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী-অভিভাবকরাও মানসিকভাবে উৎকণ্ঠায় রয়েছে। সরকার এবং ইউজিসি উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে নানাভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। শীঘ্রই কিছু নির্দেশনা বা গাইড লাইন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্ব-প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ এখানে সবিশেষ গুরুত্ব রাখে। সে বিবেচনায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চালুর ব্যাপারে ইতোমধ্যে দুই মাস ধরে বিভিন্ন জরিপ ও সুবিধা-অসুবিধা নিরুপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ সুবিধার বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এসব বিষয়ে কর্মরত দুইটি কমিটির থেকেও বেশ কিছু তথ্য ও সুপারিশ পাওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে সার্বিক সুবিধার দিক নিয়েও কাজ চলছে।

ভিডিও কনফারেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধানবৃন্দ, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টবৃন্দ, সিইটিএল’র পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক, আইসিটিসেলের পরিচালক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালকসহ (ভারপ্রাপ্ত) সংশ্লিষ্ট মোট ৪০ জনের বেশি সংযুক্ত ছিলেন।