• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে এবারের জাতীয় সম্মেলনে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  


আ.লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময় থেকে যোগ্যতা থাকা সত্বেও যাদের নেতা বানানো সম্ভব হয়নি তাদের এবার অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দক্ষতা-যোগ্যতা ও ত্যাগ থাকার পরও যাদের রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারেননি তাদেরকে এবার আওয়ামী লীগে টানতে পারেন দলীয় প্রধান। এদের ভেতরে শীর্ষ পদে ছিলেন যারা শুধু তারাই নয়, অন্যান্য পদের ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদেরও এবার সুযোগ করে দেবেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয় ছাত্রনেতারাও আসতে পারেন নেতা হয়ে। এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঘনিষ্ট কয়েকজন আ.লীগ নেতা। 

আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন ২০-২১ ডিসেম্বর। সম্মেলনকে সামনে রেখে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের দীর্ঘ তালিকাও এর মধ্যে সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী সম্মেলনে দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের ইচ্ছাপূরণ করতে সমর্থ হবেন এমন নেতারাই আওয়ামী লীগে পদ পাবেন। তিনি বলেন, তরুণ নেতাদের ওপর বেশি আস্থা রাখতে চান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর দুই সদস্য এ তথ্য জানিয়ে আরও বলেন, এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তত দুই ডজন নতুন নেতা অন্তর্ভুক্ত হবেন। বয়সের কারণে ও নানা দুর্নামের ফলে এবারের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অন্তত ২৫ নেতা বাদ পড়তে পারেন। কারও কারও ক্ষেত্রে ‘প্রমোশন’ ও ‘ডিমোশন’ হওয়ার কথা রয়েছে। যাদের অধিকাংশই ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। 

ওই দুই নেতা বলেন, ’৭৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত যারা ছাত্রলীগ করেছেন তাদের অগ্রাধিকার ও যোগ্যতার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগে জায়গা দেওয়া হবে। দলটির সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, অনেক ছাত্রনেতার ওপর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নজর রয়েছে। তাদের কর্মকান্ড নিয়ে কাজও চলছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের তালিকার ওপর পর্যালোচনা করছেন শেখ হাসিনা। কাকে কোথায় জায়গা দেওয়া উচিত, কে কোথায় ভালো করবে, কার কোনো দুর্নাম নাই, ক্লিন ইমেজ কার কত বেশি, কারা রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন, কেন ছেড়ে দিয়েছেন, টেন্ডারবাজিসহ কোনো বদনাম রয়েছে কি না এসব বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবার নতুনে আস্থা রাখতে চান। তারুণ্যনির্ভর, ক্লিন ইমেজের নেতা তৈরি করে জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে চান শেখ হাসিনা। আর এবার সম্মেলনেই তিনি সে ধরনের দল তৈরি করে তুলতে চান। দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ ডন বনে যাওয়া নেতাদের দল থেকে বের করতে ইতিমধ্যে তিনি শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। এ অভিযানের মধ্য দিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছারসহ সংগঠনের অনেক নেতাকে সংগঠনগুলো থেকে বাদ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগেও কাদের বাদ দেবেন সেই তালিকা ইতিমধ্যে তিনি করে ফেলেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, কাউকে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে বাদ দেবেন আবার কাউকে সম্মেলনের আগেই দল থেকে অব্যাহতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বেশকিছু তরুণ নেতা এবার আওয়ামী লীগে জায়গা পাবেন। যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্রনেতার জায়গা হবে বিভিন্ন পদে।
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা