সাংসদ পুত্র অভিজিৎ চন্দ’র শেষকৃত্য সম্পন্ন

খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ’র কনিষ্ঠ পুত্র ও জেলা পরিষদ সদস্য অভিজিৎ চন্দ্র চন্দে’র শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় ডুমুরিয়া সদরের কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি ও মঠ মহাশ্মশানে তার শবদাহ করা হয়।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে তার মরদেহ ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল থেকে শহীদ সোরওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে একটি লাশবাহি অ্যাম্বুলেন্সে করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডুমুরিয়া সদরে বাসভবনে আনা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্যরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। তাদের ক্রন্দনে পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য, খুলনা জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণপদ দাস ও সম্পাদক বিমান বিহারী ম-ল অভিজিৎকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা ও তার পরিবারকে সান্ত¦না ও সমবেদনা জানাতে উপস্থিত হন।

এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ বেগম, অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লবসহ উপজেলা পর্যায়ের সকল অফিসার উপস্থিত হন। তাকে একনজর দেখা জন্য এলাকার সাধারণ নারী-পুরুষসহ দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বাড়ির সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ সময় অনেকের মুখে শোকের ছায়া আর চোখে অশ্রু দেখা যায়। মৃতের অনেক বন্ধুবান্ধবকে এসময় উচ্চস্বরে কাঁদতে দেখা যায়। বাসভবনে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে রাত ৮টার দিকে উপজেলা সদরে কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি মঠ মন্দিরের শ্মশানে তার শবদাহ করা হয়।

প্রসঙ্গত বুধবার সকালে বাড়ির সকলের অজান্তে অভিজিৎ চন্দ বাথরুমে ঢুকে হারপিক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি পারিবারিক জীবনে দুই পুত্র সন্তানের জনক। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। বড় ভাই বিশ্বজিৎ চন্দ্র চন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন। মেঝো ভাই সত্যজিৎ চন্দ্র চন্দ একজন ব্যবসায়ী। প্রায় তিন বছর পূর্বে একমাত্র বোন জয়ন্তী রানী চন্দ একইভাবে মৃত্যুবরণ করেন।