• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রতিবন্ধকতা নয়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২১  

বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তবে এই আইনের কিছু অপপ্রয়োগ হয়ে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার (১০ এপ্রিল) পঞ্চম ‘বাংলাদেশ স্কুল অব গভর্নেস (বিডিসিগ)-২০২১’ এর সমাপনী আসরে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে এবারের আসরে একটি সেশনে নিজেদের আলোচনা তুলে ধরেন দেশের আইন ও মিডিয়া অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা।

সেই আলোচনার সূত্রে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে আলোচনা হয়েছে সেখানে এই আইনের পক্ষেও মত আছে, বিপক্ষেও মত আছে। আমি মনে করি যে, প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে না। হ্যাঁ, কিছু কিছু অপপ্রয়োগ হতে পারে। এই অপপ্রয়োগ হয়, যে মামলা করে সে ইচ্ছাকৃতভাবে করে অথবা পুলিশ যখন এটা প্রয়োগ করতে যায় তখন অপপ্রয়োগ করে। কিন্তু আইনে এমন ব্যবস্থা নেই, যে ব্যবস্থার জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা মত প্রকাশের ক্ষেত্রে কাউকে এই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

আইনের অপপ্রয়োগ অন্যান্য আইনের ক্ষেত্রেও করা হয়েছে উল্লেখ করে জব্বার বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন একটি আইন আছে। এই আইনের যে কত অপপ্রয়োগ হয়েছে তা এখানকার আইনজীবীরাও ভালো বলতে পারবেন। কিন্তু এই আইন আমাদের জন্য কতোটা প্রয়োজনীয় তা আমরা জানি।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মূলধারার গণমাধ্যম ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সরকারের কোনো সমস্যা হয় না বলেও দাবি করেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে মূলধারার কোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিকের সঙ্গে কখনও কোনো সমস্যা হয়নি। সেসব সাংবাদিকদের নিয়ে সমস্যা হয়েছে যাদেরকে কখনও আমরা সাংবাদিকতা করতে দেখেনি।

অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপার্সন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু বলেন, প্রচলিত দণ্ডবিধির যে সাক্ষ্য আইন, তা দিয়ে ডিজিটাল জগতে সংঘটিত অপরাধের বিচার করা যাবে না। প্রচলিত যে আইন সেখানে সংজ্ঞাতেই বলা হয়েছে যে, দৃশ্যমান বিষয় থাকতে হবে। কিন্তু ধরেন সফটওয়্যার চুরি হয়েছে, সফটওয়্যার তো দৃশ্যমান না। কাজেই ডিজিটাল আলামতকে কিভাবে মামলার বিচারের মধ্যে নিয়ে আসা হবে তার জন্য ডিজিটাল আইন দরকার। পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই ডিজিটাল জগতটাকে ব্যবস্থাপনা করার জন্য নতুন আইন আসছে। কাজেই দণ্ডবিধির কিছু আইন পরিবর্তন করেই এটা করা যাবে না। কেউ অজ্ঞতা থেকে বা না জানা থেকে এই আইনের বিরোধিতা করছে।
 
দুই দিনব্যাপী এবারের আসরে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১২টি দেশ থেকে প্রতিনিধি যোগ দেন। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টাব্যাপী সেশনে ইন্টারনেট গভর্নেন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টারনেট গভর্নেস, ব্লকচেইন, ডাটা প্রটেকশন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি, ডিজিটাল ইকোনমি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মতো বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন অংশগ্রহণকারীরা। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি দেশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক, আইটি এবং আইসিটি পেশাজীবী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা এখানে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে অংশ নেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা