• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনায় ঘুর্ণিঝড়ে কম হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৯  

সরকারের যথাযথ আগাম ব্যবস্থা নেয়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের প্রাথমিক সতর্কতা জারির সাথে সাথেই দূর্যেোগ মোকাবেলা ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রথমত, দূর্যোগকালে উপকূলের মানুষের নিরাপদ অবস্থানের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তড়িৎ খুলে দেয়া হয়। উপকূলের ঝুঁকিতে থাকা লাখ লাখ মানুষের আশ্রয়কেন্দ্রে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মাইকিংসহ সবধরণের প্রচারণা চালানো হয়। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে দূর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথা সময়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

ইতোপূর্বে দেখা গেছে, শুধুমাত্র সরকারী বিভাগগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে সাধারণ মানুষকে দূর্যোগের সময় মাসুল দিতে হয়েছে। এবার তা হয়নি। 

আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার, শুকনো পানীয়সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমানে সরবরাহ করা হয়েছে। ত্রাণ ও খাদ্য মন্ত্রনালয় তাদের ওপর অরোপিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে লাখ লাখ মানুষকে অভূক্ত থাকতে হয়নি। রেডক্রিসেন্ট, ফায়ারসার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারণায় স্বতস্ফুর্তভাবে মানুষেরা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পেরেছে। 

অন্যদিকে, সরকারের নির্দেশে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা ঘূর্ণিঝড়ের আগেই উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে তাদের কর্মতৎপরতা শুরু করে। 

দূর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা ও নৌ বাহিনী অতীতের মতো এবারও বিশেষ ভূমিকা রাখে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীকে সম্পূর্ণ  প্রস্তুত রাখা হয়। এরই অংশ হিসেবে নৌ বাহিনীর কমপক্ষে ১০ টি জাহাজ বিভিন্ন ঘাটিতে ত্রাণ সামগ্রীসহ প্রস্তুত রাখা হয়। 

কোস্টগার্ডও দূর্যেোগকালীন তাদের ‍ওপর নির্দেশিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করে। 

সার্বিক ঘুর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিনিদ্র রাত্রি যাপন করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনালয়কে আগেই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মন্ত্রনালয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করে। 

সার্বিকভাবে পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় ঘুর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান খুব বেশী হয়নি। 

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, আগাম ব্যবস্থা নেয়ায় এবার বড় কোনো বিপর্যয় ঘটেনি।  রবিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবার সহযোগিতায় সফলভাবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করা গেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি মানুষকে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে সক্ষম হয়েছি। মোট ২১ লাখ ৬ হাজার ৯১৮ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিল।

সুন্দরবন রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা সফল। হতাহতের খবর তেমন একটা নেই। 

(সংবাদে ব্যবহৃত ছবিটি পূর্বের সংগৃহীত)

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা