• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সরকারের জিরো টলারেন্স : ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে মোট গ্রেফতার ২৭৫

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের দুই মাস আজ। এ সময়ে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী ৫০টি অভিযান পরিচালিত হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ অভিযান শুরু করে র‌্যাব। এ পর্যন্ত ১০ হেভিওয়েটসহ গ্রেফতার হয়েছেন ২৭৫ জন। সর্বশেষ ৩১ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যাসিনো-দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলমান থাকবে। এদিকে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে ছয় দিন করে রিমান্ডে  নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্যাসিনো-দুর্নীতিবিরোধী ৫০টি অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে র‌্যাব ৩২টি, পুলিশ ১৭টি এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর একটি অভিযান পরিচালনা করে। এতে অনেক প্রভাবশালীর নাম বেরিয়ে আসে। এদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। এই তালিকায় সংসদ সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী ৫০টি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন ২৭৫ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২২২ ও বাইরের ৫৩ জন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ২ জন, ঢাকার ৩ কাউন্সিলর, যুবলীগের ৬ জন ও কৃষক লীগের একজন রয়েছেন। দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে ৩৪ জনের বিরুদ্ধে। ক্যাসিনো, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, ঘুষ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ২০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে দুদক। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, দুই মাসে ৩২টি অভিযানে ৭ কোটি ৭৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯১০ টাকা, ২৩টি দেশের ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৩ টাকা, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার এফডিআর, ১৫৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই এবং ১৪ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ২৭৭ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। মামলা হয়েছে ৩২টি। ১১টি মামলার তদন্ত করছে র‌্যাব। ইতিমধ্যে তিনটি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে। দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ জন্য সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। দুদক প্রথমে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরিচালনার কথা জানায়। পরে এই তালিকা বাড়তে থাকে। বর্তমানে দুদক ২০০ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর প্রথম দিনই ঢাকার ফকিরেরপুল ইয়াংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। গ্রেফতার করা হয় বহিষ্কৃৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। এরপর একে একে গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক মো. লোকমান হোসেন ভূইয়া, বহিষ্কৃৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, কৃষকলীগ নেতা মোহাম্মদ শফিফুল আলম ফিরোজ, অনলাইন ক্যাসিনোর প্রধান সমন্বয়কারী সেলিম প্রধান, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান ওরফে পাগলা মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, ময়নুল হক মঞ্জুসহ অনেককে। পরে এসব অভিযোগে জড়িত চার শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা