সরকারী প্রণোদনা ঘোষণা:মিথ্যাচারের মাধ্যমে কৃতিত্ব নিতে চায় বিএনপি

করোনা ভাইরাসে দেশের সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা বা অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। বেশ কিছুদিন ধরে বিশেষজ্ঞ মতামত ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

এদিকে, করোনার মধ্যেও থেমে নেই বিএনপির নোংরা রাজনীতির খেলা। রোববার বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘বিএনপির দাবির প্রেক্ষিতে সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।’’ এছাড়া তিনি প্রচ্ছন্নভাবে আর্থিক সহায়তার এ ঘোষণার বিভিন্ন দিক নিয়ে তীব্র সমালাচনার তীর ছুঁড়ে দিয়েছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‘সরকার কয়েকদিন ধরে বিশাল অংকের অর্থনৈতিক প্যাকেজটি তৈরী করে তা রোববার ঘোষণা করার জন্য সংবাদ সম্মেলন আহবান করে। বিএনপি বিষয়টি একদিন আগে নিশ্চিত হয়ে সস্তা কৃতিত্ব নেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে শনিবার ৮৭ হাজার কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানায়। সরকার প্যাকেজ ঘোষণার সাথে সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, ‘‘বিএনপির দাবির প্রেক্ষিতেই সরকার প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।’’ বিষয়টি হাস্যকর ও এ থেকে বোঝা যায়, বিএনপি করোনা নিয়েও রাজনীতি করছে।’’  

সমসাময়িক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আবু সুফিয়ান বলেন,‘‘ দেশে এখন জাতীয় সংকট চলছে। এখন সমালোচনার সময় নয়। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিএনপি এই করোনা প্রাদূর্ভাবের সময়ও তাদের স্বভাবজাত নোংরামী ও মিথ্যাচার অব্যহত রেখেছে। এটি সত্যি খুব দু:খজনক।’’

বিএনপির একজন স্থায়ী কিমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপি আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে এমন সাহসী পতক্ষেপ নিতে পারতো কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। ‘‘বিএনপি করলে সরকারের বিরোধিতা করতে হবে’’-উপর মহলের এমন নির্দেশের প্রেক্ষিতেই হয়তো মির্জা ফখরুল আবোলতাবোল বকছেন।