• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের আনাগোনা আ’লীগ কার্যালয়ে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

আসছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাও। নেত্রী চাইলে যে কোনও দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত তারা। দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলন। হাজারো নেতাকর্মীর পদচারণায় মুখর ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়। আসছেন দীর্ঘদিন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাইরে থাকা সাবেক ছাত্রনেতারাও। তারা বলছেন, পদ-পদবী নয় দলীয় প্রধানের নির্দেশ বা তার দেয়া দায়িত্বই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।  

সামনেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল- নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর দলীয় সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়। কার্যালয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেলো, এক সময়কার রাজপথের পরিচিত ছাত্রলীগের নেতাদের আড্ডা। যাদের অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় রাজনীতির বাইরে আছেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় রাজনীতির বাইরে থাকলেও কিন্তু আমার রাজনীতি কার্যকলাপ থেমে থাকেনি।আমি দলের সঙ্গে সবসময়ই যোগাযোগ রেখেছি। বিশেষকরে আমি আমার এলাকা এবং তৃণমূলে কাজ করেছি। আমি জাতীয় রাজনীতিতে শেখ হাসিনার সৃষ্টি।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেন, আমি ছাত্রলীগ ছাড়ার পরই পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি যখন করা হয় তখনই নেত্রী আমার নাম লিখে দিয়েছেন।প্রত্যেকটি মানুষেরই একটি আশা থাকে, আমারও আশা আছে নেত্রী শেখ হাসিনা যখন যে দায়িত্ব দিবে আমি সেই দায়িত্বই পালন করবো।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চাইলে যেকোন দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত  ছাত্রলীগের সাবেক এসব নেতারা।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন বলেন, অনেক সাবেক ছাত্রনেতা আছে যারা কাজ করতে প্রস্তুত।সবার প্রত্যাশা থাকবে, কিন্তু প্রাপ্তির জায়গা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ধারণ করবেন।পাওয়া না পাওয়ার কোন বিষয় নেই, আমরা পদ পেলেও এই সংগঠনের সঙ্গে থাকবো না পেলেও থাকবো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমি সার্বক্ষনিক রাজনীতির সঙ্গেই আছি। আওয়ামী লীগের উপকমিটিতে ছিলাম। আমার সুনির্দিষ্ট কোন চাওয়া পাওয়া নেই, ছাত্র রাজনীতিতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন নেত্রী, সভাপতিও বানিয়েছিলেন নেত্রী। উনি যখন যে প্রয়োজনে ডাক দিবেন আমরা সেখানেই থাকবো।  

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রবীণদের সঙ্গে এবার আরো বেশী  তরুণরা কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন। এমন ভাবনা দলের সব মহলে। 

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, কে কোথায় কাজ করবে কে কোথায় আসবে না আসবে এ বিষয়ে নেত্রী যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেটিই আমাদের জন্য শিরদার্য।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক বলেন, সম্মেলনের সময় আমাদের অনেক বড়ভাই ছোটভাইদের সঙ্গে দেখা হয়। আমরা সবাইকেই উৎসাহ এবং আনন্দের সঙ্গেই সবাইকে গ্রহণ করি।

নেতারা বলছেন পদ নয়  আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে তাদের কাছে বড় একটি উৎসব।  

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা