সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যেসব খাবার খাবেন

ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার। বেশকিছু ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ট্রেস এলিমেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ভিটামিনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হলো ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন ডি। যেসব খাবারে এগুলো বিদ্যমান, তা খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

সহজে ভিটামিন সি এর জোগান পেতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত একটি আমলকি খান। প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য পাতে রাখুন ঢেঁড়শ, পটল, কুমড়ো, বিনস, গাজর, উচ্ছে, বাঁধাকপি, কলমি শাক, ক্যাপসিকাম, বরবটি, কড়াইশুঁটি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ইত্যাদি।

আগের তুলনায় পরিশ্রম কমে যাওয়ায় ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিন। নয়তো বাড়তি ওজন নিয়ে মুশকিলে পড়তে পারেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, মুড়ি, চিঁড়া, সুজি, ওটস এগুলো কমিয়ে খান। এর বদলে সালাদ ফল, স্যুপ, কল বের করা ছোলা, মুগডাল, বাদাম- এসব বেশি করে খান। প্রতিদিনের খাবারে কয়েকটি জিনিস রাখলে তা আপনাকে ভেতর থেকে সুস্থ থাকতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করবে। এই সময় প্রকাশ করেছে সেসব খাবারের তালিকা-

গুলঞ্চ
ঝোঁপেঝাড়ে অনেকটা অবহেলায় বেড়ে ওঠে এই লতা। কিন্তু এর গুণ অনেক। শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে গুলঞ্চের কাঁচা পাতার রস বেশ উপকারী। এছাড়াও জন্ডিস, হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া, বহুমূত্র, অর্শরোগে গুলঞ্চের কাঁচা পাতা ও কাণ্ড দুটোই ব্যবহার হয়। সংক্রমণ এড়াতে এটি রাখতে পারেন খাবার তালিকায়।

চিনাবাদাম
বাদাম শব্দটি শুনলেই সবার আগে যে ছবি চোখে ভেসে ওঠে, সেটি হলো চিনাবাদাম। এই বাদাম অনেকক্ষণ ধরে পেট ভরিয়ে রাখে। চিনাবাদামের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম হলেও প্রোটিন এবং ফ্যাটের পরিমাণ যথেষ্ট। এতে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ সঠিক থাকলে ইনসুলিনের সঠিক কার্যকলাপ বজায় থাকে। এছাড়াও চিনাবাদামে প্রচুর ফাইবার থাকে। আর্জিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে এই ফাইবারের উপস্থিতি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ রোগীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। তবে দিনে ঠিক কতটা বাদাম খেতে পারবেন, সে সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।

হলুদ
সবচেয়ে পরিচিত মশলার একটি হলো হলুদ। এটি প্রতিদিনের রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। শুধু রান্নার কাজেই নয়, হলুদের আরও অনেক গুণই আছে, যার বেশিরভাগই আমাদের কাছে অজানা। হলুদে প্রচুর ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি ও কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে যা বিভিন্ন রোগ থেকে আমাদের দূরে রাখে।

রসুন
প্রতিদিন এককোয়া কাঁচা রসুন শরীরের নানা উপকারে আসে। তবে সকালে খালি পেটে খেতে হবে এমন নয়, দুপুর বা রাতেও খেতে পারবেন। রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ভেতর থেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।