• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

শ্যালকের চড় ও স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতেই তিনজনকে হত্যা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

শ্যালকের চড় ও স্ত্রী’র ওপর দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিশোধ নিতেই শ্যালিকা ও তার দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘাতক আব্বাস উদ্দিন! একই কারণে সে নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানকেও কুপিয়ে জখম করে। বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এই তথ্য জানান। সিদ্ধিরগঞ্জে মা ও দুই শিশুকে হত্যার ঘটনা তদন্তের পর পুলিশ এই তথ্য পেয়েছে বলে জানান তিনি। অভিযুক্ত আব্বাসকে গ্রেফতারের পর তিনি এ তথ্য জানান।  

পুলিশ সুপার বলেন, ‘কিছু হলেই আব্বাসের স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলা বৌবাজার এলাকার তার বোন নাজনীন বেগমের বাসায় চলে যেতো। এ নিয়ে মাদকাসক্ত আব্বাস উদ্দিনের মধ্যে চরম ক্ষোভ ছিল। আর সেই ক্ষোভের কারণেই  পরিকল্পিতভাবে মা নাজনীন বেগম এবং তার দুই শিশু কন্যা নুসরাত (৬) ও খাদিজাকে (২) এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত এবং কুপিয়ে হত্যা করে। একইসঙ্গে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়াকেও হত্যার জন্য ছুরিকাঘাত করে সে।’

বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, মা ও দুই মেয়ের খুনিকে হত্যাকাণ্ডের পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন একটি কমিউনিটি সেন্টারে খাবারের টেবিলের নিচে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা স্বীকারও করেছে।’

এসপি আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী ইয়াছমিনের ছোট ভাই নাছির উদ্দিন কোনও একটি কারণে আব্বাসকে চড় মারে। রাগ করে স্ত্রী ইয়াছমিন তার প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে বোনের বাসায় চলে যায়। এসব কারণে আব্বাস উদ্দিন প্রতিদিনের মতো ইয়াবা সেবন করে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্যালক নাসির উদ্দিন, স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম ও নাজনীন বেগমের স্বামী মোহাম্মদ সুমন কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে গেলে সিআই খোলার বাসায় যায় আব্বাস উদ্দিন। সেখানে গিয়ে সে নাজনীন বেগমের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে একে একে মা ও দুই মেয়েকে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ড নিজের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুমাইয়া দেখে ফেলায় তাকেও ছুরিকাঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।’

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা বৌবাজার এলাকায় মা নাজনীন বেগম (২৮), দুই মেয়ে নুসরাত (৬) খাদিজাকে (২ ) নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত সুমাইয়াকে (১৫) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা