• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

শেরপুরের নকলায় পাটের আবাদ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেড়েছে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯  

জেলার নকলা উপজেলায় পাটচাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলায় এবছর তিনশ’ হেক্টর জমিতে পাটচাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলের আবাদ হয়েছে ৩৩০ হেক্টর জমিতে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এ উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছিল ২৬০ হেক্টর জমিতে। গতবছর আউশ ধানের আবাদ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায়, পাটের আবাদ ২০০ হেক্টর কমে গিয়েছিল। অন্যদিকে, ২০১৭ সালে উপজেলায় পাট চাষ করা হয়েছিল ৪২০ হেক্টর জমিতে।

অন্যদিকে, চলতি বছর বিগত ২০১৮ সালের তুলনায় উপজেলায় আউশ ধানের আবাদ কমে পাটের আবাদ বেড়েছে প্রায় ১৯০ হেক্টর জমিতে।
বিভিন্ন এলাকায় সরজমিন দেখা গেছে, উপজেলায় এবছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাট চাষি ও কৃষি কর্মকর্তারাও এমনটাই জানিয়েছেন। অন্যদিকে পাটের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারনে কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহি হওয়ায় লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেড়ে হয়েছে ৩৩০ হেক্টর। এরমধ্যে তোষা পাট ২৫৫ হেক্টরে, দেশি পাট ৬০ হেক্টরে, কেনাফ পাট ১০ হেক্টরে এবং ৫ হেক্টর জমিতে অন্যান্য জাতের পাট চাষ করা হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ বছর উপজেলায় গড়ে প্রতি হেক্টরে ১১ দশমিক ৪২ বেল হিসাবে পাট উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশে সাধারনত অ্যাটম পাট-৩৮, সি-২, সিভিএল-১, সিভিই-৩, সিসি-৪৫, ডি-১৫৪-২, বিজেআরআই দেশী পাট-৮, দেশী পাট-৯, ওএম-১, ও-৪, ও-৯৮৯৭, ও-৭২, বিজেআরআই তোষা পাট-৪, বিজেআরআই তোষা পাট-৫, বিজেআরআই তোষা পাট-৬, বিজেআরআই তোষা পাট-৭, এইচসি-২, এইুস-৯৫, বিজিআরআই কেনাফ-৩ (বট কেনাফ), বিজিআরআই কেনাফ-৪ (কেই-৩ ফুন্ডুক) ইত্যাদি জাতের পাট চাষ করা হলেও, নকলায় ও-৪, ও-৭২, ও-৯৮৯৭ এবং দেশী ও ভারতীয় কিছু জাতের পাট বেশি চাষ করা হয়েছে।

বানেশ্বরদী এলাকার কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান খান, আবুল হোসেন ও আমিন মিয়া, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের সাজু সাঈদ সিদ্দিকী ও রফিক মিয়া, ভুরদী খন্দকারপাড়া কৃষিপন্য উৎপাদক কল্যান সংস্থার সভাপতি আলহাজ্ব মো. ছায়েদুল হকসহ পাট চাষিরা জানান, পাটের গাছ খুব ভাল হয়েছে, ফলনও খুব ভাল হবে। এরই মধ্যে পাট কাটাও শুরু হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি ও কৃষিবিদ সৈয়দ রায়হানুল হায়দার জানান, পাটের আবাদ বাড়াতে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ সেবা দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দেশী, কেনাফ ও মেসতা জাতের পাট হেক্টরে ৬ মেট্রিকটন থেকে ৭ মেট্রিকটন হারে এবং তোষা জাতের পাট হেক্টরে ৮ মেট্রিকটন থেকে ৯ মেট্রিকটন হারে উৎপাদন হবে।

নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দশজন কৃষককে প্রতিজনে ১০ শতাংশ জমিতে তোষা পাটের বীজ উৎপাদনের জন্য প্রদর্শনী প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পাটের হারিয়ে যাওয়া সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পাট অধিদপ্তরের আওতায় কৃষকদের পাটচাষ ও উৎপাদন, কলা কৌশলের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা