শুধু বই পড়েই ডাক্তার হওয়া যায় না: অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০১৯
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক । সম্প্রতি তিনি অবসরে গেছেন। তবে তিনি আরও এক বছর পিআরএলে আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর প্রিয় প্রতিষ্ঠান। এখানকার কাজের সুযোগ যেমন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান, পরীক্ষা নেওয়া ইত্যাদি তিনি চালিয়ে যেতে পারবেন। তিনি একজন লেখকও। ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ মেডিসিন বিষয়ে ৬টি বই লিখেছেন, যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বের অনেক দেশের ছাত্রছাত্রী ও চিকিৎসকের কাছে সমাদৃত এবং গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তিনি সাবেক ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি আলাপচারিতায় নেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারভিত্তিক বক্তব্যের চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরা হল।
প্রশ্ন : চিকিৎসাজগতে আপনি একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। চিকিৎসা বিষয়ে প্রায়ই চমকপদ্র কথা বলে থাকেন। যেমন, একাধিকবার বলেছেন শুধু বই পড়ে প্রথিতযশা ডাক্তার হওয়া যায় না। ব্যাখ্যা করবেন কী?
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ : তরুণরা অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে মেডিকেলের আঙিনায় পা রাখেন। যারা সবে শুরু করছেন, তারা মনে রাখবেন, এখানে সচেতনতা ও সততার কোনো বিকল্প নেই। আপনাকে প্রথম থেকেই ভালোভাবে পড়াশোনা এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনাকে রোগী দেখতে হবে। আমি যখন মেডিকেল জীবনে প্রথম ওয়ার্ডে ঢুকি তখন এক শিক্ষক-ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এরা কারা চেন?’ আমরা উত্তরে বললাম ‘রোগী’। তিনি বললেন, এরা শুধু রোগী নয়, এরাই তোমার প্র্যাকটিকাল লার্নিং মেটেরিয়াল বা হাতে-কলমে শিক্ষার উপকরণ। তাদের দ্বারাই তোমাদের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সুতরাং তাদের সঙ্গে কখনো খারাপ আচরণ করো না। তারা যেন তোমার কাছ থেকে কোনো কষ্ট না পায়। তুমি যত বড় ডাক্তার হও না কেন, তাদের মাধ্যমেই তোমাকে হাতে-কলমে শিখতে হবে। আমি বলব, যারা নবীন তারা মনে রাখবেন, শুধু বই পড়ে ডাক্তার হওয়া যাবে না। যে কেউ বাজার থেকে বই কিনে পড়তে পারে, কিন্তু আপনাকে রোগীদের মাধ্যমেই প্রথিতযশা ডাক্তার হতে হবে। কেউ যদি মনে করে, বই পড়ব আর ভালো ডাক্তার হব, সে কোনো দিনই ভালো ডাক্তার হতে পারবে না।
প্রশ্ন : বিভিন্ন কারণে চিকিৎসকদের অনেকেই রাজনীতি বা অন্যভাবে জড়িয়ে পড়েন। আপনার মন্তব্য কী?
অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ : মনে রাখতে হবে, আমি ডাক্তারি পেশায় ঢুকছি, এটাই আমার একমাত্র পেশা, অন্য কোনো পেশায় জড়িয়ে পড়া যাবে না। বিশেষ করে অনেকেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড জড়িয়ে পড়েন। এটা কখনো করবেন না। মেডিকেল সায়েন্সে এটা একটা বড় বাধা। সবার ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে এটা ঠিক, কিন্তু তার মানে এই নয়, আপনি অন্য কাজে সময় ব্যয় করে আপনার প্রফেশনের ক্ষতি করবেন, এটা যেন কেউ না করেন। আগে আপনাকে দক্ষ ডাক্তার হিসেবে তৈরি হতে হবে, তাহলে আপনি নিজে গর্বিত হবেন, আপনার বাবা-মা গর্বিত হবেন, দেশ তথা জনগণ উপকৃত হবে।
প্রশ্ন : চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে নিয়ে আপনার মূল্যায়ন পাঠক জানতে চায়। বলুন তো শুনি।
অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ : আমার শিক্ষার্থীরা দেশের প্রায় প্রতিটি মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে সফলতার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করছে। অনেকেই বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হিসেবে আছে। যারা শুধু প্র্যাকটিসের মধ্যে আছে তারাও সম্মানের সঙ্গে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এটা আমার অনেক বড় অর্জন। নিজ হাতে ভালো কিছু শিক্ষক ও ডাক্তার তৈরি করা আমার লক্ষ্য ছিল। আমি পুরোপুরি এটা করতে না পারলেও অনেকাংশেই সফল। প্রায়ই একটা কথা বলি, আমি আমার যোগ্যতার চেয়েও বেশি পেয়েছি। আমি চাই, আমার শিক্ষার্থীসহ সব চিকিৎসক ভালো কাজ করুক। তারাও বিভিন্নভাবে সম্মানিত ও পুরস্কারে ভূষিত হোক।
আরেকটা পরামর্শ হলো, চিকিৎসকদের শুধু ভালো চিকিৎসক নয়, ভালো মানুষও হতে হবে। তাই জোর দিয়ে বলি, পুঁথিগত বিদ্যায় ভালো ডাক্তার হওয়া যায় না। আমি চিকিৎসক ও শিক্ষক হিসেবে সফল। আবার যেহেতু আমি মেডিসিনের প্রফেসর হিসেবে জেনারেল প্র্যাকটিস করি, রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকি, তাই রোগীদের সঙ্গে আমার তো তেমন কোনো দূরত্ব তৈরি হচ্ছে না। তাদের সেবা আমার ব্রত ছিল, আছে এবং থাকবে। আমি অবসরে যাচ্ছি বটে, তবে আমার কাজ তো আর থেমে থাকবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে আমি চলে গেলেও কাজের কোনো ঘাটতি হবে না। অন্য প্রফেশনের মানুষ পুরোপুরি অবসরে যেতে পারেন, কিন্তু ডাক্তাররা তা পারেন না। ডাক্তারদের কোনো অবসর নেই।
প্রশ্ন : চিকিৎসকদের কেউ কেউ বলে থাকেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশে ডাক্তারদের অবস্থা খুব ভালো নয়। আপনার পর্যবেক্ষণ…
অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ : মানুষ এখন ডাক্তারদের ব্যাপারে নেতিবাচক চিন্তা করছে। এই নেতিবাচক চিন্তা থেকে ইতিবাচক অবস্থায় নিয়ে আসার দায়িত্ব ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের ওপরই বর্তায়। তরুণ ডাক্তারদের এ দায়িত্ব নিতে হবে, সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে, রোগীদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। এটা আমার, আপনার, আমাদের সবার পরিবার ও দেশের জন্য মঙ্গলজনক। সবার কাছে এটাই আমার আকুল আবেদন। যদি আগামী প্রজন্মের চিকিৎসকদের মধ্য থেকে কেউ কেউ এই কর্মযজ্ঞকে এগিয়ে নিয়ে যান, নতুন জ্ঞান আর নতুন অভিজ্ঞতাকে এভাবেই ছড়িয়ে দেওয়ার মানসে প্রয়াস চালান, তবে সেটাই হবে আমার এত দিনের সাধনার চূড়ান্ত সাফল্য। বর্তমানে রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে একটা দূরত্ব ও আস্থাহীনতার ভাব সৃষ্টি হয়েছে। এটা কাটিয়ে উঠতে হবে। উভয়ের মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুভাবাপন্ন ও সহযোগিতামূলক হওয়া উচিত। আমি একটা কথা সবসময় বলি, কোনো এক জায়গায় যদি একজন ডাক্তার থাকেন, তাহলে রোগী তার কাছেই আসবে। যদি দুজন ডাক্তার হয়, তখন রোগী তুলনা করবে তাদের মধ্যে কে ভালো।
তিনজন হলে আরও তুলনা করবে। ডিগ্রি ও কোয়ালিটি এক হলেও কিন্তু রোগী সবার কাছে যায় না। আপনারা লক্ষ্য করে দেখবেন, কেউ কেউ রোগী পায় না আবার কারও কারও কাছে লম্বা লাইন, রোগীরা সিরিয়াল পাচ্ছে না। এর কারণ হলো, আস্থা ও বিশ্বাস। মেডিকেল প্রফেশনটা অন্য প্রফেশনের চেয়ে একটু আলাদা। যারা আসতে চান তাদের আমি স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আপনাকে অনেক কষ্ট করার মানসিকতা রাখতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। ভালো মানুষ ও ভালো ডাক্তার উভয়ের গুণাবলি অর্জন করতে হবে। যেমন রোগীর সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলা, রোগীর কথাগুলো ঠিকমতো শোনা, ভালো আচরণ করা, ওষুধ ভেবেচিন্তে দেওয়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা অপ্রয়োজনে না দেওয়া। ভবিষ্যতে যারা এ পেশায় আসতে চান, তাদের চিন্তা-চেতনায় এ বিষয়গুলো থাকতে হবে। তাহলে আপনারা অবশ্যই সফল হবেন, ইনশাল্লাহ্
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- চলবে ১২০ দিন
নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু - যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কেএনএর সন্ত্রাসী নিহত
- ঢাকায় কাতারের আমির
অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি - বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে সই হবে ৫ চুক্তি ও সমঝোতা
- খুলনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, সই হবে ৫ চুক্তি-সমঝোতা
- যে বার্তা নিয়ে ঢাকা আসছেন চীনের বড় দুই প্রতিনিধিদল
- গরমে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় স্ট্যান্ডবাই কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল
- যুদ্ধ নয়, ব্যয় করুন জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায়: প্রধানমন্ত্রী
- জনসভার বিষয়ে বিএনপিকে ২৮ অক্টোবরের কথা মনে করিয়ে দিলেন
- এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
- চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার
- বসছে ভেন্ডিং মেশিন
স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট - দুবাই বন্দরে পৌঁছাল এমভি আব্দুল্লাহ, নাবিকদের উচ্ছ্বাস
- বোরোর বাম্পার ফলনে হাওড়ে উৎসবের আমেজ
- শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ
- কাতারের আমির ঢাকা আসছেন আজ, সই হচ্ছে ছয় চুক্তি পাঁচ স্মারক
- উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার
- প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
- হজযাত্রীদের টিকা নিতে লাগবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট
- দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী
- প্রচণ্ড গরমে লাইভ সংবাদে জ্ঞান হারালেন পাঠক
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- চলন্ত মেট্রোতে দুই তরুণীর রং মাখামাখি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করবেন
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- রাসুল (সা.) রোজা অবস্থায় যেসব কাজ পরিহার করতে বলেছেন
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার