• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

রূপসায় সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারে দৃষ্টান্ত স্থাপন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৯  

লোকবল সংকটসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সরকারি সস্পত্তি উদ্ধার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রূপসা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্তাবধানে একের এক অভিযান চালিয়ে তিনি দু’টি মৌজার ১০.৭০ একর জমি দখলমুক্ত করে সরকারি জিম্মায় এনে সেখানে সাউনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরে এসব জমি প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভূমিদস্যুদের ভোগ দখলে ছিলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ জুলাই সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদানের পর ৮ আগস্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সুস্মিতা সাহা। সরকারি কাজে প্রয়োজনীয় জমি সন্ধান করতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন এ উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় বেশ কিছু খাস জমি রয়েছে। এসব জমির আংশিক থেকে সরকার রাজস্ব পেলেও অধিকাংশ জমি রয়েছে বেদখল। অবশেষে সরকারি এসব জমি উদ্ধারে মাঠে নামেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে গত ২ অক্টোবর উপজেলার জাবুসা মৌজার এসএ ৯১৫, আরএস ১নং খতিয়ানের আরএস ১৫৬৫ ও ১৫৬৭ নং দাগের ৪.০২ একর জমি অবৈধ দখলমুক্ত করেন উপজেলা কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা। উল্লিখিত জমির মধ্যে নতুন খালের ভরাটকৃত জমি জেমিনি সী ফুডস জালালাবাদ সী ফুডস কোম্পানী ও গ্রীনবাংলা হাউজিং অবৈধভাবে দখল করে ভোগ দখল করছিলেন।

এছাড়া গত ২৪ অক্টোবর উপজেলার ফতেপুর মৌজার বিভিন্ন আরএস খতিয়ান ও দাগের ৬.৬৪ একর জমি উদ্ধার করেন। সাথে সাথে জমিতে সাইনবোর্ডও টানিয়ে দেন। সরকারি রাজস্ব ফাঁকী দিয়ে এসব সরকারি জমি বিভিন্ন ব্যক্তি ভোগ দখল করে আসছিলো।

উল্লেখ্য, সরকারি এ সকল সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করে সরকারের হেফাজতে নেয়া এটাই প্রথম। যা আগে কখনোই দেখা যায়নি।
উপজেলা কমিশনার (ভূমি) সুস্মিতা সাহা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ভূমি অফিসটি শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত করতে কাজ করছি। এখন আর কেউ দালালদের মাধ্যমে এখানে কোন কাজ করাতে পারছেনা। জমির প্রকৃত মালিক মিউটিশন ও নামজারীসহ যে কোন কাজ সরকারি ফিস দিয়ে করাতে পারছেন। যে কারণে পূর্বের চেয়ে এসব কাজ অনেক বেড়েছে। তিনি বলেন, নিজের কাজ নিজে এসে করালে দালালরা আর পাত্তা পাবে না, খরচও হবেনা বাড়তি টাকা।

এজন্য প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, এ অফিসে ৭টি পদ থাকলেও লোক আছে মাত্র ৩ জন। লোকবল সংকটের কারণে অনেক কাজ আমরা সময়ের মধ্যে করতে পরছিনা। তারমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো যেসব সরকারি সম্পত্তি বেদখল রয়েছে, সেসব সম্পত্তি দখলমূক্ত করতেও লোকের প্রয়োজন। তবে বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা