• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

রাবিকে বদলে দিতে পঞ্চাশ বছরের ‘মাস্টার প্লান’

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮  

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা, আবাসনসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ও বিশ^বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫ দশকের মাস্টার প্লান হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ পরিকল্পনার আওতায় তিনটি ধাপে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নতুন আবাসিক ভবন, ক্রীড়া ভবন, একাডেমিক ভবন, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোনসহ মোট ১২ টি বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করা হবে। 

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছরের মাস্টার প্লান প্রণয়ন ও মিডিয়া সেন্টার অন্তর্ভূক্তিকরণ’ বিষয়ে সোমবার দুপুরে রাবি সিনেট ভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান মাস্টার প্লান কমিটির আহবায়ক বিশ^বিদ্যালয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া।

তিনি জানান, উন্নয়ন কাজের মধ্যে আরও থাকবে, বিজ্ঞান জাদুঘর, প্রাকৃতিক ইতিহাস জাদুঘর, সীমানা প্রাচীর সংস্কার, আধুনিক পরিবহন গ্যারেজ ও যাত্রীছাউনি এবং তৃতীয় প্রশাসন ভবন স্থাপন।
এর মধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মেও তথ্য সংরক্ষণে আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা, গবেষণা জালিয়াতি রোধে প্লেগারিজম সফটওয়্যার, মিডিয়া সেন্টার স্থাপন, একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন, ৩৬৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজসহ বেশ কিছু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মোট ৩ টি ধাপে এই প্লান বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে পরিকল্পনা কমিটির সদস্য ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. রেজাউর রহমান বলেন, ৫০ বছরের মাস্টার প্ল্যানটিকে তিন ক্যাটাগরিতে তৈরি করা হয়েছে। প্রথমত ২০১৯-২০২৩ সাল পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী, দ্বিতীয়ত ২০২৪ থেকে ২০৪৩ পর্যন্ত বিশ বছর এবং ২০৪৩ থেকে ২০৬৭ থেকে ২৫ বছর মেয়াদী উন্নয়ন হিসেবে পরিকল্পনায় আনা হয়েছে।

মাস্টার প্লান কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান। তিনি বলেন, বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৬২ সালে একটি মাস্টার প্ল্যান করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সব প্লানের এখন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই মিডিয়া সেন্টার স্থাপন করে বিশ^বিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথভাবে ক্যাম্পাসের কর্মকা-কে পরিপূর্ণ তুলে ধরা হবে। আর এ জন্যই মাস্টার প্ল্যানে মিডিয়া সেন্টারকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এসময় তিনি এই সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ ড. এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ।

অন্যদের মধ্যে বিশ^বিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. লায়লা আরজুমান বানু, ডিন, সিনেট সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা