• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ইভিএম ভোট দান পদ্ধতি ও এসএমএস এ ভোটকেন্দ্র জানার উপায়

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনই প্রথম নির্বাচন, যেখানে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম পদ্ধতিতে শতভাগ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই পদ্ধতি সম্পর্কে ভোটাররা প্রায় কেউই জানেন না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা রয়েছে, তেমন হলে ভোটাররা অন্তত পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবে। আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট ইভিএম পদ্ধতিতে শতভাগ হতে যাচ্ছে। তবে ইভিএম সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা লোকের সংখ্যা খুবই নগন্য।

ইভিএমে ভোট দেবার পদ্ধতি: ভোট কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে প্রিজাইডিং অফিসার জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি বা স্মার্টকার্ড, আঙুলের ছাপ, এনআইডি নম্বর, এগুলোর যেকোন একটি যাচাই করে ভোটার সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। এ সময় ভোটারের ছবি ও তথ্যাবলী একটি মনিটরে প্রদর্শিত হবে, যাতে সকল প্রার্থীর এজেন্টরা দেখতে পারেন। এরপর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএম মেশিনগুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে সচল হবে। যতগুলো পদের জন্য ভোট প্রদান করতে হবে, কক্ষের ভেতরে ঠিক ততগুলো ডিজিটাল ব্যালট ইউনিট রাখা থাকবে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে তার প্রতীকের পাশের বোতামে চাপ দিলে বাতি জ্বলে উঠবে। ভোট নিশ্চিত করতে সবুজ বাটনে চাপ দেওয়ার পর ভোট দেওয়া প্রতীক ছাড়া বাকি সব প্রতীক অদৃশ্য হয়ে যাবে। এতে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে, ভোট হয়েছে। কোন কারণে ভুল প্রতীকের পাশের বোতামে চাপ পড়লে, লাল বোতামে চাপ দিতে হবে। ফলে ভুল সংশোধিত হবে ও নতুন করে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে। এই প্রক্রিয়া টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে প্রচারিত হলেও, হাতেকলমে প্রশিক্ষণ না পাওয়া পর্যন্ত ভোটারদের শংকা রয়েই যাচ্ছে। অতীতে কয়েকটি সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন উপ নির্বাচন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএমের ব্যবহার হয়েছে।

এসএমএস করে ভোটকেন্দ্র জানার উপায়

 

নিজের ভোটার নম্বর কত এবং আপনি কোন কেন্দ্রে ভোটটি দেবেন সেটি জানা যাবে একটি এসএমএসের মাধ্যমেই। ভোটারদের সুবিধার্থে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্রের নাম জেনে নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এই সেবা নিতে এসএমএসের মাধ্যমে ভোটার নম্বর ও ভোটকেন্দ্রের ঠিকানা জানতে ১০৫ নম্বরে এসএমএস দিলেই ফিরতি এসএমএসে পেয়ে যাবেন সব তথ্য। এজন্য প্রথমে মেসেজ অপশনে গিয়ে PC লিখে একটা স্পেস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর বা স্মার্ট আইডি কার্ড নম্বর লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে জানতে পারবেন আপনার ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে আপনার সিরিয়াল নম্বর।

ভোট দেওয়ার জন্য এসব তথ্য আগে প্রার্থীরা বাসায় বাসায় সরবরাহ করলেই কেবল জানা যেত। এছাড়াও ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রার্থীদের সাজানো টেবিল থেকে ভোটার তালিকা ঘেঁটে নিজের নাম ও ভোটার নম্বর বের করতে হতো। এ সময় অনেক ভোটারকে প্রভাবিতও করে ফেলতেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঝামেলা এড়াতে ভোটারদের সুবিধার্থে এই ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিশেষ পরামর্শ

এই পদ্ধতিতে তথ্য জানতে দুটি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এনআইডি নম্বরের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিট ও স্মার্ট আইডি নম্বরের ক্ষেত্রে ১০টি ডিজিট লিখতে হবে। যাদের এনআইডিতে ১৩টি ডিজিট আছে তাদের নম্বরের শুরুতে জন্ম সালটি লিখতে হবে। আরও বলা হয়েছে, একাধিকবার এসএমএস করার প্রয়োজন নেই। এসএমএস পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে ফিরতি এসএমএস নাও আসতে পারে। সময় লাগলেও আপনার তথ্যসমৃদ্ধ এসএমএস আপনি পাবেন।

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা