• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

যেখানে গেলেই আপ্যায়ন করবে পেঙ্গুইন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

এতদিন ছবি বা পর্দায় পেঙ্গুইনদের দেখে অভ্যস্ত চোখ সুযোগ পেলেই পৌঁছোতে চাইবে পেঙ্গুইন (Penguins) কলোনিতে। যেখানে বাস প্রায় আড়াই হাজার পেঙ্গুইনের। যারা বরফ মাড়িয়ে অনায়াসে দুলে দুলে চলে। একসঙ্গে ওঠে-বসে, জন্ম দেয় আগামী প্রজন্মের। তাদের আবাস সুদূর আন্টার্কটিকা (Antarctica)। যেখানে পা রাখলেই সাদরে আপ্যায়ন জানায় হিম, বরফে মোড়া উপত্যকা আর ঝাঁকে ঝাঁকে সাদাকালো পেঙ্গুইন। 

যতক্ষণ না আপনি সশরীরে সেখানে পৌঁছোতে পারছেন ততক্ষণ জানতে হবে নরওয়ের পর্যটক কার্লসেনের স্মৃতি। অ্যান্টার্কটিকার হাফ মুন দ্বীপে গিয়ে কার্লসেন দেখেছিলেন হ্রদে বরফের টুকরো ভাসছে তুলোর মতো। বড় বড় কালো ডানা মেলে রোদের ওম জড়িয়ে নিয়ে গায়ে দল বেঁধে ঘুরছে পেঙ্গুইন। বরফের বিছানায়, রোদের মৃদু তাতে শুয়ে আড়মোড়া ভাঙছে বিশাল তিমি, সিল মাছ সিন্ধুঘোটকের দল। 

এখানকার সমুদ্র শান্ত, হিমশীতল। যেন মৃতের শরীর। অন্য সমুদ্রের উষ্ণ জল এই সাগরকে ছুঁয়ে যায় মাঝেমধ্যে। তখনই শীতঘুম ভেঙে জেগে ওঠে বরফ ঠাণ্ডা সমুদ্র। অন্য সাগরের লোনা জলে সেঁকে নেয় নিজেকে। যদিও বিশ্ব উষ্ণতা উষ্ণ করছে একেও।

 

ফলে, আস্তে আস্তে ভিড় বাড়ছে জনমানবহীন আন্টার্কটিকাতেও। মানুষের সাড়া পেয়ে গা নাড়া দিয়ে জেগে উঠতে চাইছে যেন প্রকৃতি। যদিও প্রকৃতির কুমারীত্ব অটুট রাখতে ভ্রমণ সংস্থার পক্ষ থেকে সবিনয় আর্জি, আবর্জনা নয়, রেখে যান স্মৃতি। মলিনতা নয়, থেকে যাক পর্যটকদের পাায়ের ছাপ।

কিন্তু যেখানেই মানুষ পা রাখে সেখানেই সদম্ভে চিহ্ন রেখে যায় আগমনের। ভ্রমণপিপাসুদের বয়ে আনা জাহাজ থেকে বেরিয়ে আসা কার্বন ডাই অক্সাইড কলুষিত করছে এখানকার টাটকা বাতাস। যার প্রভাবে গলছে হিমানি। ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথে হাঁটছে পুরনো বাসিন্দা পেঙ্গুইন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা