• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

যে সকল কারণে জামিন পেলেন না খালেদা জিয়া

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আজ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিএনপি-জামায়াত সিন্ডিকেটের পক্ষ হতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে সরকার জামিন দেয়নি’। একই সাথে চেষ্টা চালানো হচ্ছে নাশকতা সৃষ্টি ও গুজব ছড়ানোর। 


খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়ার পেছনে কী কারণ রয়েছে তা জানতে একাধিক আইন বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আদালত সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বিচার বিশ্লেষণে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আদালতের কাছে জমা হওয়া খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদনে গুরুতর অসুস্থতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, যা জামিনের অনুকূলে যথাপোযুক্ত কারণ হতে পারে। তাছাড়া কারা অধিদফতরের রিপোর্ট মোতাবেক কারাগারে খালেদা জিয়া ভালো আছেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবধরণের ভিভিআইপি সুযোগ সুবিধা লাভ করছেন।     


আলোচিত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দূর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে খালেদা জিয়া দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও দূর্নীতির অভিযোগে তার সাজা হয়েছে। গ্যাটকো, নাইকো, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির মামলার মত বড় বড় দূর্নীতির মামলাসহ তার বিরুদ্ধে ৩৬ টি মামলা রয়েছে।

 

ঘুষ গ্রহণ, নাশকতার মত স্পর্শকাতর মামলা গুলোতে জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত কখনো আসামির প্রতি নমনীয়তা প্রকাশ করে না।

 
ন্যায়বিচারের মানদন্ডে আদালত খালেদা জিয়াকে আর দশজন সাধারণ আসামির মতোই মনে করে। যে কারণে ৩৬ টি মামলার মধ্যে ৩৪ টি মামলাতেই তিনি জামিন পেয়েছেন ইতিমধ্যে। আদালতে রাজনৈতিক প্রভাব যদি সরকার বিস্তার করতো, তবে এতগুলো মামলাতে খালেদা জিয়া জামিন পেতেন না। 


রাষ্ট্রের অর্থ ভবিষ্যতে কোনো সরকার বা রাষ্ট্র প্রধান যেন তছরুপ করতে না পারেন, এজন্য উদাহরণ হিসেবে আদালত প্রয়োজনীয় কঠোরতা অবলম্বন করেছে। 


ইতিপূর্বে, কোনো কারণ ছাড়াই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া কমপক্ষে ১৩০ বার আদালতে হাজির না হয়ে সময় প্রার্থনা করেছিলেন। বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে এধরণের আরো নজির খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে। তাই আদালত দ্রুত এ মামলাগুলোর নিষ্পত্তি করতে চায়। দ্রুত মামলার নিষ্পত্তিতে আসামিদের উপস্থিতি প্রয়োজন। এ মামলায় অপর আসামি খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আর দেশে ফিরে আসেননি। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই একই শংকা রয়েছে। 


সর্বশেষ একটি উদারণ দিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। বহুল আলোচিত ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটির অভিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন হৃদরোগের রোগী। শারিরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হলে সম্প্রতি কারা তত্বাবধায়নে তার ওপেন হার্ট সার্জারী করা হয়। তবে তাকে জামিন প্রদান করা হয়নি। এ ধরণের নজির বহু আছে। অপরাধ বিশ্লেষণ ও অপরাধীকে পর্যবেক্ষণ করে আদালত যে কাউকে জামিন দিতে পারেন, আবার জামিনের আবেদন খারিজও করে দিতে পারেন।    
 

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা