• বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

যুবলীগনেতা চেয়ারম্যান পুত্রের অফিসে হামলা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৮ মে ২০১৯  

দাকোপে প্রকাশ্যে অফিসে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে চেয়ারম্যান পুত্র যুবলীগনেতা বাদী হয়ে নবনির্বাচীত চেয়ারম্যান পুত্রসহ ৪ জনের নামে এজাহার দাখিল করেছে। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে তাৎক্ষনিক উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
প্রত্যক্ষদর্শী ও দাকোপ থানায় দাখিলকৃত এজাহার সুত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার বেলা আনুমানিক দেড়টার দিকে দাকোপ উপজেলা সদর চালনা ডাকবাংলার মোড় অগ্রণী ব্যাংক ভবনে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ভবনের ৩য় তলায় থাকা দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনের পুত্র উপজেলা যুবলীগনেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুমের ঠিকাদারী ব্যবসার অফিস। ঘটনার সময় মাসুম কয়েকজন সহযোগীসহ অফিসে অবস্থান কালীন নবনির্বাচীত উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খানের পুত্র ইমরান খান (৩২) তার ভাগিনা মারুফ শেখের পুত্র বাঁধন শেখ (২৫), আকাশ মোল্যা (২৬) এবং তপন সানা (২৫)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দা লাটি ছোরা চাকুসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাসুমের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা মাসুমকে হত্যার উদ্দেশ্যে অফিসের দরজা ভাংচুর করে ভীতরে প্রবেশ করে । সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতœ রক্ষার্থে মাসুম অফিসের টয়লেটে আশ্রয় নেয়। সন্ত্রাসী ইমরান বাঁধন গংরা অফিসের ড্রয়ার ভেঙে নগত ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লুটে নেয়। এ ছাড়া অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে বলে অভিযোগ করা হয়। হামলাকারীরা ভবনের ২য় তলায় থাকা অগ্রণী ব্যাংকের পানির কন্টিনার ভাংচুর করে। এজাহারে আসামীদেরকে চিহ্নিত মাদকাশক্ত লুটোরা চাঁদাকাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ দিকে প্রকাশ্যে ব্যাংক ভবনে হামলার ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারী ও আগত গ্রাহকদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার আকর্ষিকতায় ব্যাংক কর্ত্তৃপক্ষ ব্যাংকের মুল ফটকসহ ভবনের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে রাখে। ঘটনার সময়  প্রায় ঘন্টাখানিক ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্দ থাকে। এ ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল মাসুম বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে দাকোপ থানায় এজাহার দাখিল করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ দিকে হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে উপজেলা আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আ’লীগ কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়ে চালনা বাজার প্রদক্ষিন শেষে অফিস চত্বরে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আ’লীগনেতা শেখ রফিকুল ইসলাম, এস এম আব্দুল গফুর, শ্রমিকলীগের আহবায়ক গোবিন্দ বিশ্বাস, সদস্য সচীব অমারেশ ঢালী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক জি এম রেজা, যুবলীগনেতা রতন মন্ডল, জাহিদুর রহমান মিল্টন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আজগর হোসেন বাপ্পি, গাজী রবিউল ইসলাম, রাসেল কাজী, আরাফাত আজাদ, প্রতাপ রায়, রাহুল রায়, ইমদাদুল হক মিলন, মুরাদ শেখ, সালমান শেখ, বায়েজিদ শেখ, আরিফ গাজী, বশির গাজী, গোবিন্দ রায়, মাসুম হাওলাদার, রাজু বাছাড়, হ্নদয় ঢালী, পুষ্পেন সরকার মনি, অচিন্ত্য রায়, রনি গাজী, সুদীপ্ত গোলদার, অসিত বিশ্বাস, স্বপ্নীল মন্ডল, কিশোর ঢালী, পার্থ রায়, মুন্না শেখ, আজিজুর শেখ প্রমুখ। 
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা