• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

যশোরে ৩ দিবসে রেকর্ড পরিমাণ ফুল বিক্রি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ফুল ভালোবাসা, সৌন্দর্য, বিশুদ্ধতা ও শুদ্ধতার প্রতীক। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়! বাঙালির ফেব্রুয়ারি মাসটি একদিকে যেমন ফাল্গুনী ভালোবাসার, অন্যদিকে শ্রদ্ধার। ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ আর শ্রদ্ধা জানানোর মূল অনুষঙ্গ হলো রংবেরঙের ফুল। আর এই বিশেষ দিবসে এলেই কয়েকগুণ বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা। মাসটিকে ঘিরে তাই ফুলের বেচাকেনা হয় জমজমাট।

দেশের চাহিদার ৬০-৭০ ভাগ ফুল সরবরাহ করে যশোরের ফুলচাষিরা। অনুকূল আবহাওয়া ও ফুলের পর্যাপ্ত দাম পাওয়ায় এরইমধ্যে বেচাকেনার রেকর্ড ছাড়িয়েছে যশোরের ফুলচাষিদের।

ঝিকরগাছা গদখালি ফ্লাওয়ার সোসাইটি সূত্র মতে, যশোর জেলার আট উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়। তার মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি-পানিসারার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কৃষক ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করছেন। ফুল চাষে আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার রেকর্ড পরিমাণ ফুলের উৎপাদন হয়েছে। ছাড়িয়েছে দামেও। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। আর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। সর্বমোট ৪০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছে যশোর অঞ্চলের ফুল চাষিরা। এবার তিন দিবসকে ঘিরে রেকর্ড পরিমাণ ফুল বিক্রি হয়েছে দাবি গদখালি ফ্লাওয়ার সোসাইটি।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গদখালি-পানিসারা বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত সপ্তাহ ধরে গোলাপের দাম বেশি থাকলেও বর্তমানে কিছুটা কমেছে। তবে বেড়েছে গাঁদা ফুলের। গোলাপ প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে ৮-১০ টাকা দামে। এছাড়া প্রতিটি গ্লাডিওলাস ৮-১০ টাকা, জারবেরা প্রতি পিস ১০-১৫ টাকা, রজনীগন্ধা ৫-৬ টাকা, আঁটি জিপসি ৩০ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার ৪০০- ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

আফছার আলী নামে এক ফুল চাষি বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে গোলাপ ও জারবেরা চাষ করেছিলাম। ভালোবাসা ও বসন্ত দিবসে ফুলের দাম পেয়েছি বেশ। মাতৃভাষা দিবসে ফুলের দাম কিছুটা কম হলেও বেচাকেনার যে লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিলাম সেটা পূরণ হয়েছে।’

আরশাদ গাজী নামে আরেক ফুল চাষি বলেন, ‘গদখালী এলাকার মাঠে মাঠে এখনো ফুটে আছে হরেক রঙের ফুল। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবছর ফুলের চাষ হয়েছে বেশি। তবে এ বছর মোড়ক লেগে গোলাপের বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে গোলাপ চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাহিদার ৬০-৭০ ভাগ ফুল যশোরের গদখালি-পানিসারা থেকে সরবরাহ করা হয়। কৃষকরা সারাবছরই ফুল বিক্রি করলেও ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে তাকিয়ে থাকে। কেননা এই মাসের ফুলের চাহিদা বাড়ে কয়েকগুণ। চাহিদা অনুযায়ী বসন্ত উৎসবে ফুল সরবরাহ করেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ফুল সরবরাহ করা হচ্ছে। আমরা বছরে ৬০-৭০ কোটি থাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য মাত্রা ধরে থাকি। কিন্তু গত কয়েক দিনের বেচাকেনায় বিগত বছরগুলোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা