মুজিববর্ষে মনোসেক্স গলদা চিংড়ি চাষে রূপসাকে মডেল করা হবে

খুলনার রূপসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বলেছেন, বর্তমান সরকার চিংড়ি চাষি এবং খামারীদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে। চিংড়ি উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে মনোসেক্স গলদা চিংড়ি চাষে রূপসাকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তরের চেষ্টা করা হবে। এ জন্য তিনি চিংড়ি চাষি ও খামারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বৃহস্পতিবার রূপসার ইলাইপুরস্থ প্রগতি ফিস লিমিটেড চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘মনোসেক্স গলদা চিংড়ি চাষ’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মৎস্য অধিদপ্তর খুলনার সহযোগিতায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিসারী প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি)’র অর্থায়নে ফিস ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ফোয়াব) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ফোয়াব সভাপতি মোল্লা সামছুর রহমান শাহীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৈহাটি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল গফুর খান, রূপসা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বিষ্ণু।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফোয়াবের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার মৎস্য বিজ্ঞানী মন্মথনাথ সরকার। বক্তৃতা করেন সুন্দরবন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মোদাচ্ছের আলী মাস্টার, ফোয়াবের অর্থ সম্পাদক নাসির আহমেদ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের খুলনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো. রাজু আহমেদ, মহিলা সম্পাদিকা বুলু রানি ম-ল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ মোল্লা, ফোয়াবের সহ-সভাপতি লস্কর মনিরুজ্জামান, সাখাওয়াত হোসেন শাওন, প্রগতি ফিস লিমিটেড’র পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন সাগর, ফোয়াবের রূপসা উপজেলা আহবায়ক সাংবাদিক এম এ আজিম, নৈহাটি ইউনিয়ন মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ কর্মী (লিফ) আশিষ রায়, শ্রীফলতলা ইউনিয়নের লিফ মোহাম্মদ আলী হোসেন, মো. ইসরাইল খান, সঞ্চিতা রায়, নিরুপমা ম-ল, কবিতা বৈরাগী, তপক ম-ল (তপু), মো. সোহরাব সানা প্রমুখ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় খুলনার ৯টি উপজেলার ৫০জন গলদা চিংড়ি চাষি অংশ গ্রহণ করেন।