• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মুজিব শতবর্ষ ঘিরে ১০০ নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নোঙর’র

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২০  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় (বিআইডব্লিউটিএ) মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের ১০০ নদীর তীরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর’। তুরাগ নদীর পাড়ে বৃক্ষ রোপণের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

সোমবার (১৩ জুলাই) তুরাগ নদীর পাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছ রোপণ করে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরি। তুরাগ সংলগ্ন জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর নদীর সীমানা পিলারের অংশ হিসেবে এসব গাছ লাগানো হয়। 

কর্মসূচির উদ্বোধন করে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি জানিয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরি বলেন, নদীর সীমানা চিহ্নিত জায়গা পুনর্দখল করলে আরও বেশি অপরাধ হবে। শেখ হাসিনা সরকারের সময় কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাবে না বলে আমরা আশা করি।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নদী তীর দখলমুক্ত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী তীর দখলকারীরা শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান ছিল, কিন্তু আমরা তাদের দখলদার হিসেবেই দেখেছি। নদীর তীর দখলমুক্ত করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা ও সমর্থনের কারণে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সরকারের তুলনায় আর কেউ বেশি অনুভব করে না। নদীর প্রবাহ ঠিক রাখা, দখলমুক্ত করা ও জীবন-জীবিকার চাহিদা পূরণে এ সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

‘আমরা নদী তীরের ৯০ ভাগ দখলমুক্ত করতে পেরেছি। সীমানা পিলার দৃশ্যমান, পাকা দেয়াল ও ওয়াকওয়ের কাজ চলমান। কাজের গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে সংশোধিত প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, সেটি অনুমোদিত হলে নদী তীরের কাজগুলো আরও বেশি টেকসই হবে। উদ্ধারকৃত জায়গায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম ধারাবহিকভাবে চলমান থাকবে। সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা হবে। নদী রক্ষা, দখল ও দূষণ রোধ এবং পরিবেশের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান অনুমোদিত হয়েছে। তা বাস্তবায়ন করতে পারলে কেবল ঢাকার চারপাশের নদী নয়, ঢাকার মধ্য দিয়েও নৌ চলাচল সম্ভব।

এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অনল চন্দ্র দাস, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম মোহাম্মদ সাদেক, প্রকল্প পরিচালক নুরুল হক, নোঙরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শামস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা