• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মুখ-জিহ্বায় প্রয়োজন ফলিক অ্যাসিড

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯  

ফলিক অ্যাসিড হলো পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি৯, যা রক্তস্বল্পতায় আয়রনের সঙ্গে প্রদান করা হয়। কোনো কোনো সময় যেমন গর্ভাবস্থায় শুধু ফলিক অ্যাসিডও প্রদান করা হয়। ফলিক অ্যাসিড ও আয়রন এক কথা নয়। ফলিক অ্যাসিড ফলেট নামেও পরিচিত। ফলিক অ্যাসিড বা ফলেট ভিটামিন বি৯ পরিবারের সদস্য। ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায় তাজা সবুজ শাকসবজি এবং কলিজায়। যেহেতু ফলিক অ্যাসিড পানিতে দ্রবণীয়, তাই এটি শরীরে সঞ্চিত থাকে না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত গ্রহণ করা ফলিক অ্যাসিড প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি হয় অস্থিমজ্জায়। লোহিত রক্তকণিকা মাত্র চার মাস বেঁচে থাকে। তাই আবার লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে শরীরের প্রয়োজন হয় আয়রন, ভিটামিন বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিড। অতএব দেখা যাচ্ছে, লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে ফলিক অ্যাসিডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ফলিক অ্যাসিডের অভাবে শরীরে দুর্বলতা, ধূসর বর্ণের চুল, মুখের আলসার এবং জিহ্বায় ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে। মুখ এবং জিহ্বার আলসার যদি ফলিক অ্যাসিডের অভাবজনিত কারণে হয়, তবে সেক্ষেত্রে ফলিক অ্যাসিড প্রদান না করলে কোনোভাবেই মুখের আলসার ভালো হবে না। ফলিক অ্যাসিড অ্যান্টি-এপিলেপটিক ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। তাই মৃগী রোগীকে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করতে হলে যথাযথ মাত্রায় তা সেবন করতে হবে। আমাদের দেশে মুখে বা জিহ্বায় আলসার হলে মুখস্থ রিবোফ্লাভিন খেতে দেওয়া হয়। এ কথা সত্য যে, রিবোফ্লাভিন বা ভিটামিন বি২ মুখের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে; কিন্তু মুখের আলসার যদি ফলিক অ্যাসিডের অভাবজনিত কারণে হয় তবে সেক্ষেত্রে রিবোফ্লাভিন বা ভিটামিন বি২ রোগীকে খেতে দিলে মুখ বা জিহ্বার আলসার ভালো হবে না। দৈনন্দিন খাদ্যদ্রব্যের তালিকায় ফলিক অ্যাসিড অনুপস্থিত থাকলে শরীরে ফলিক অ্যাসিডের অভাব হতে পারে। এ ছাড়া ক্ষুদ্রান্ত্রের রোগ সিলিয়াক ডিজিজেও ফলিক অ্যাসিডের অভাব হতে পারে। তাই শরীরের জন্য সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ ফলিক অ্যাসিড বা ভিটামিন বি৯ এর কোনো ঘাটতি যেন না হয়, সে ব্যাপারে আমাদের সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা