• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মুক্তিপণ না পেয়ে ইয়াবা দিয়ে চালান, চার পুলিশসহ ১০ জনের নামে মামলা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২০  

লক্ষ্মীপুরে ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে দাবিকৃত এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে ইয়াবা দিয়ে চালান দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল (সদর) আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বলেন, আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। এটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অচেনা আরও ৫ জন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলার রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়। এসময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্না ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে তারা নুর আলমকে সেখান থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারে। এরপর থেকে ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়।

এজাহারে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইলফোনে কল দিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা, অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়ানো হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানি আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ ।

আরও বলা হয়, ২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ হেফাজতে নুর আলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা