• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুনে হাসবো কি কাঁদবো ভেবে পাইনা : কাদের

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য শুনে এটাই মনে হয় বানরে সঙ্গীত গায়, শীলা পাথরে ভাসে। আমি হাসবো, কি কাঁদবো ভেবে পাইনা।'

আজ বুধবার দুপুরে, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় একথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি নাকি মাইনরিটি (সংখ্যালঘু) বান্ধব সরকার ছিলো। এটি বললেও কি কেউ বিশ্বাস করে? ২০০১ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন যেভাবে মাইনরিটি নির্যাতন, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন করেছে তা, শুধুমাত্র ৭১-এর বর্বরতার সঙ্গে তুলনীয়। সেই সময় নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতায় বিএনপি নতুন রেকর্ড স্থাপন করে। ৭৫ পরবর্তী মাইনরিটি বান্ধব সরকার হলো শেখ হাসিনার সরকার। এই সরকারের আমলে সংখ্যালঘুরা সুখে ও শান্তিতে আছে। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। সবচেয়ে বড় কথা হলো শেখ হাসিনা মাইনরিটিদের (সংখ্যালঘুদের) সবচেয়ে আপনজন।

 

বাঙালির হাজার বছরের শোষণ ও আন্দোলন ইতিহাসের মহানায়কদের স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের জানান, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিলো হতাশা। পরে, বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভেজা মাটিতে ঐক্যের পতাকা নিয়ে আসেন শেখ হাসিনা।'

সেতুমন্ত্রী আরও জানান, 'শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য পলিটিশিয়ানের সীমানা পেরিয়ে গেছেন। তার নেতৃত্বে সারাদেশে চলমান শুদ্ধি অভিযান সফল করবো। এখন দরকার ক্লিন ইমেজের পার্টি। আমরা দূষিত রক্ত রাখবো না। বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালনা করবো।'

 

হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহিরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবা উদ্দিন সিরাজ, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, বেসরকারী বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী এমপি, শেখ নেছার আহমেদ।

 

জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ৮টি পদে ২৯ জন প্রার্থী নির্বাচন করবেন বলে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

 

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৩ সালের ১৩ই জুন। কাউন্সিলে অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা