• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মারধরের প্রতিশোধ নিতে হত্যা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

মোবাইল চুরির অভিযোগে রাহাতকে মারধর করার প্রতিশোধ নিতেই খুলনার রূপসা উপজেলার সরাজিল রহমান সংগ্রামকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় এ হত্যা মামলায় গ্রেফতার আসামি সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেন। সুমনের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ড ব্যবহৃত ছুরি ও মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে মামলাটি ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মুক্তরায় চৌধুরী জানান, জবানবন্দিতে সুমন আদালতকে জানায়- হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিন আগে তাদের সহযোগী রাহাতকে বাগমারা গ্রামের সারজিল রহমান সংগ্রাম মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেধড়ক মারপিট করে। এ ঘটনার বদলা নিতে রাহাত, সুমনসহ ৬/৭ জনের এক দল সন্ত্রাসী সংগ্রামকে মারধরের পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে ঘটনার দিন তারা উক্ত এলাকায় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকে। এরপর সংগ্রাম মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চা খেতে বাইরে বের হলেই তারা আকস্মিকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পুলিশ গত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগমারা এলাকা থেকে আনোয়ার হোসেনের ছেলে আদম শেখ (৩৪) এবং কোহিনুর বেগম নামে এক নারীকে আটক করে। ওইদিন পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব বুঝে নেয়। এরপর রোববার টুটপাড়া এলাকা থেকে মৃত জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ সময় তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক এজাহারভুক্ত আসামি সোহেলের বাসা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, ছোরাসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে সুমনের বাসা থেকে নিহত সংগ্রামের মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।

এসআই মুক্তরায় চৌধুরী জানান, মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঘটনার মূল কারণ উদঘাটনসহ যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। আটক সুমনের বিরুদ্ধে এর আগে ডাকাতি, চুরি এবং অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর দেড়টার দিকে পূর্ব রূপসা বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন সড়কের পদ্মা আইস অ্যান্ড কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের সামনে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সারজিল রহমান সংগ্রামকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা লিলি বেগম বাদী হয়ে ওই রাতে ছয়জনের বিরুদ্ধে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- খুলনা মহানগরীর মহিরবাড়ির খালপাড় এলাকার আবুল শিকদারের ছেলে (বর্তমানে বাগমারার রশিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া) রাহাত শিকদার (২৫), একই এলাকার আলমগীর হাওলাদারের ছেলে (বর্তমানে বাগমারা বাবুর বাড়ির ভাড়াটিয়া) সোহেল হাওলাদার ওরফে গেদন সোহেল (২৫), রূপসার বাগমারা গ্রামের (রশিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া) মৃত ইউনুচ শেখের ছেলে ইব্রাহীম শেখ (২৫), উপজেলার গোয়ালবাথান গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে অমিত শেখ (২৫), নগরীর দক্ষিণ টুটপাড়া এলাকার মো. সোবহান হাওলাদারের ছেলে (বর্তমানে বাগমারার রফিকুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া) সাজু ওরফে সাধু (২৬) ও নগরীর মহিরবাড়ি খালপাড় এলাকার সিরাজ (২৬)।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা