• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে নাওডাঙ্গা ব্রিজ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০১৯  

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে নাওডাঙ্গা ব্রিজ। সংযোগ সড়কটিরও কাঁচা হওয়ায় বর্ষায় বেহাল। ব্রিজের দু’পাশের রেলিং ভেঙে গেছে অনেক আগেই। ব্রিজের পাটাতনেও খানাখন্দ ও গর্ত। ব্রিজের মাঝখানে ভেঙে পড়েছে অনেকখানি। দেখলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে বুক। তাই ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ প্রায় ২ বছর থেকে। যেকোনো মুহূর্তে ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

ব্রিজটি উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের আলেপের তেপতি থেকে সন্তোষপুর, নাওডাঙ্গাপাড়া, কুটি নাওডাঙ্গা স্কুলেরহাট, তালেবেরহাট হয়ে বয়তুল্লার মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার মাঝামাঝি নাওডাঙ্গা ও নিমকুশ্যা বিলের উপর নির্মিত। এ ব্রিজের উপরে দিয়ে যাতায়াত করে নেওয়াশী, রায়গঞ্জ, সন্তোষপুর, রামখানা ইউনিয়নের ব্যাপারীহাট, নিলুরখামার, গোপালপুর, ধনী গাগলা, শিয়ালকান্দা, আমতলা, উত্তমখানা, গাগলা, তালেবেরহাট, কুটি নাওডাঙ্গা এলাকাসহ ৪ ইউনিয়নের প্রায় ১৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। এছাড়াও সন্তোষপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সন্তোষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুটি নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মণ্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৃষ্টি মডেল পাবলিক স্কুল ও সূর্যমুখী শিশু নিকেতনসহ কয়েকটি স্কুল, মাদরাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। রাতের অন্ধকারে পথ চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা।

ব্রিজের করুণ অবস্থা হওয়ায় ভয়ে স্কুলেও যেতে চায় না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। যেন এসব এলাকার মানুষের ভাগ্যের বিপরীতে এই ব্রিজ। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি কাজ, হাটবাজার করাসহ বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াত বড় কষ্টের। তাদের দাবি অবিলম্বে এই ব্রিজটি ভেঙে দিয়ে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করে ৪ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণ করা হোক। ব্যবসায়ী হারুন-উর রশিদ, হাসেম আলি, মশিউর রহমান বাবলুসহ স্থানীয়রা বলেন এ ব্রিজ দিয়ে ভারী কোনো মালামাল পার করা যায় না। সংযোগ সড়কটিও কাঁচা হওয়ায় এর অবস্থাও হয় অত্যন্ত নাজুক। সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটুকাদা হয়ে যায়। তখন চলাচল করাও দুস্কর হয়ে যায়। অথচ সুদৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের। তাই জনস্বার্থে জরুরিভাবে নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণ করা জরুরি। 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা