• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

মনোনয়ন বাণিজ্য : রিজভীর ওপর ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের হামলা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২০  

ঢাকা সিটি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কয়েকজন সিনিয়র নেতার ওপর চরম ক্ষুব্ধ ছিল বিএনপির তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। বেশ কিছুদিন ধরেই পুষে রাখা এই ক্ষোভের চরম বর্হিপ্রকাশ ঘটাতে তারা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ওপর হামলা চালিয়েছে।  বৃহষ্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে শেষদিনের নির্বাচনী প্রচারে নেমে তিনি মারপিটের শিকার হন।

সূত্র জানিয়েছে, দুপুরে কারওয়ানবাজার থেকে রিজভীর নেতৃত্বে ধানের শীষের স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু হয়ে কিছুদূর এগোলে হঠাৎ লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। হামলায় রিজভী পায়ে ও হাতে আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে দ্রুত কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হয়।

বিএনপি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে বিতর্কিত ও অযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ফলে শুরু থেকেই তৃণমূলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা তাদের মেনে নিতে পারেননি। অভিযোগ রয়েছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ নির্দেশে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রুহুল কবির রিজভীসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ব্যাপক মনোনয়ন বাণিজ্য করেন। ফলে তৃণমূলে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এছাড়া রুহুল কবির রিজভীর ওপর সাধারণ নেতাকর্মীদের আরো একটি কারণে ক্ষোভ রয়েছে। তা হচ্ছে, দলের ভিতরে থেকেই রিজভী দল বিরোধী ষড়যন্ত্র ও দলে বিভেদ সৃষ্টি করছেন।

বৃহষ্পতিবার দুপুরে রিজভীকে দেখে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তখন রিজভী কৌশলে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ শ্লোগান দিতে থাকেন। এতে নেতা কর্মীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তাকে মারপিট করেন।

স্থানীয় যুবদলের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, রিজভীসহ কয়েকজনের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আমরা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারিনি। আর আজ তিনিই প্রচারণায় নেমে খালেদা জিয়াকে নিয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন। এটা নেতা কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। তার তাকে সামান্য মারপিট করেছে।  

এবিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি চেয়ে কর্মীদের নিয়ে মিছিল করছিলাম। এ সময়ে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। আমি কিছু বুঝে উঠার আগে হামলার মুখে রাস্তায় পড়ে যাই। পায়ে ও হাতে আঘাত পেয়েছি। পরে কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না।

মিছিলে অংশ নেয়া বিএনপির এক নেতা জানান, পরিতাপের বিষয় হচ্ছে যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের মধ্যে আমাদের কিছু নেতা কর্মী ছিল। সিটি নির্বাচন হয়ে গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি মহাসচিবকে জানানো হয়েছে। 

এ দিকে হামলার ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হামলার ঘটনাকে তিনি ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে জড়িতদের গ্রেফতারে দাবি জানিয়েছেন।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের পুলিশের সহকারী কমিশনার এসএম মঈনুল ইসলাম জানান, হামলা বা মারপিট এমন ঘটনার বিষয় নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা