• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ভয় লাগে, এমন সময় পৃথিবীতে আগে দেখিনি: সৌরভ গাঙ্গুলি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০  

চীনের উহানে প্রথম ধরা পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরপর বিশ্বের অন্তত ২০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে বিশ্বব্যাপী। সারা বিশ্ব কাঁপছে করোনা আতঙ্কে।

এদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এই দুঃসময়ে কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন? কী করছেন, কী ভাবছেন এই ভয়ঙ্কর সময়ে? জানালেন এক সাক্ষাৎকারে...

এই করোনা-আতঙ্কের দিনে কী করছেন?

এখন তো টোটাল লকডাউন, ছুটিতে আছি। আর মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলাম। দেড় লাখ কেজি চাল দিয়েছি যাদের প্রয়োজন সে রকম মানুষদের। খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। এর পাশাপাশি দশ হাজার পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) কিট দেব। বেলুড় মঠে দু’হাজার কেজি চাল দিলাম। ওরা প্রচুর গরিব মানুষকে খাওয়ান। ওদের মাধ্যমে ঠিক জায়গায় পৌঁছনো যায়। আমি তো নিজে পৌঁছাতে পারি না সব জায়গায়। এই সবই করছি এখন, যতটা আমাদের পক্ষে সম্ভব। এ ভাবেই মানুষের পাশে আছি। সবাইকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। না হলে সিচুয়েশন থেকে বেরনো যাবে না। খুব টাফ সিচুয়েশন। আমি জীবনে কখনও এ রকম দেখিনি।

বাড়ির কাজও করছেন?

কিছুই করি না। ফ্যামিলির মানুষদের সঙ্গে প্রচুর গল্প করছি। আর অনলাইনে বসে বিসিসিআই-এর কাজ করছি। অনেক ইমেল করতে হয়, অনেক কন্ট্যাক্ট করতে হয়।

আপনার স্ত্রী ডোনা এবং কন্যা সানা বাড়ি সামলাচ্ছেন?

না, সানাকে কিছু করতে হয় না। ডোনা আছে, মা আছেন, বাড়িতে আরও মানুষরা আছেন, তারাই বাড়ি সামলাচ্ছেন।

সারাদিন কী করছেন?

বাড়িতেই থাকি বাড়ির মানুষদের সঙ্গে। আর সুইমিং করি, এক্সারসাইজ করি যাতে শরীরটাকে রেজিস্ট্যান্ট করে তুলতে পারি। এক্সারসাইজ ইজ ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট। ডায়েট মেনটেন করি। গরম জল, মধু খাই। প্যারাসিটামল খেতে থাকি যাতে টেম্পারেচার না আসে। করোনার তো কোনো ওষুধ নেই, আপাতত সেভাবে কোনো চিকিৎসা নেই। তাই যতটা ঠিক থাকা যায়।

বাইরে গেলে কী ভাবে সংস্পর্শ এড়ানোর চেষ্টা করছেন?

বেলুড় মঠ ছাড়া আর কোথাও যাইনি।

‘খেলাটেলা এখন মাথায় নেই কিছু ম্যাডাম, আগে সব কিছু ঠিক হোক’

‘দাদাগিরি’ প্রায় শেষ...

হ্যাঁ। শুধু ফাইনাল শুটিং বাকি। লকডাউনের জন্য আটকে আছে। কবে শুটিং করা সম্ভব হবে এখনও কেউ জানে না। ‘দাদাগিরি’ নিয়ে কথা বলার টাইম এখন নয়। পরে হবে। এখন লকডাউনে সোশ্যাল হেল্প ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট।

আপনি এক জন দুস্থকেও সাহায্য করেছেন?

হ্যাঁ। সংবাদপত্রে দেখলাম, উনি চা খেতে গিয়েছিলেন। ওর খুব অসুবিধা হচ্ছে। ওকে খাবার পাঠিয়েছি।

আর খেলা?

খেলাটেলা এখন মাথায় নেই কিছু। আগে সব কিছু ঠিক হোক। আমি দেখছি না পৃথিবীর কোথাও কোনও খেলা হবে। সবই তো ক্যানসেল হয়ে গেল। উইম্বল্ডন ক্যানসেল, ইউরো ক্যানসেল...আমাদের আইপিএল...সবই তো বন্ধ হয়ে গেল। ফুটবলও বন্ধ...ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ, ফ্রেঞ্চ ওপেন বন্ধ। কিচ্ছু হবে না এখন। ইউরোপের অবস্থা খুব খারাপ। ইংল্যান্ড-টিংল্যান্ড দেখছেন তো...রোজ পাঁচশো করে লোক মরছে। মানে চারপাশে আতঙ্ক।

লকডাউন যদি আরও দীর্ঘায়িত হয়...

এ ভাবেই গৃহবন্দি থাকতে হবে। আর তো কিছু করার নেই। কিন্তু একটু ভয় লাগে...পৃথিবীতে কোনো সময় দেখিনি যে ফ্লাইট নেই, ট্রেন নেই, কোথাও যাওয়া যাচ্ছে না... প্রচণ্ড স্কেয়ারি। আশা করি বেশি দিন চলবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে।সূত্র: আনন্দবাজার।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা