• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ভাতের মাড় ফেলনা নয়, মুহূর্তেই শরীরে শক্তি যোগায়!

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২০  

ভাত রান্নার পর অনেকেই মাড়টুকু ফেলে দেন নিশ্চয়! আবার কেউবা এক চিমটি লবণ মিশিয়ে ওই মাড়টুকু পান করেন। বলতে গেলে তারাই লাভবান! জানেন কি? মাড় খাওয়া বা এর ব্যবহার কতটা স্বাস্থ্য উপকারী। 

এটি খেলে হজমশক্তি ও এনার্জিও বাড়ে। আবার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতেও ব্যবহার করা হয় ভাতের মাড়। ভাতের মাড়ের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। জেনে নিন এর পাঁচটি উপকারিতা সম্পর্কে-

ত্বকের শুষ্কতা রোধে

জাপানে এক হাজার বছর আগে ভাতের মাড় দিয়ে রুপচর্চা শুরু হয়। প্রতিদিন দুইবার ঠাণ্ডা ভাতের মাড় দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলার উপকারিতা একদিন বা দু’দিনে নয় বরং দীর্ঘদিন পর আপনি টের পাবেন। জাপানিদের সুন্দর ত্বকের পেছনের রহস্য কিন্তু এই ভাতের মাড়। এটি একটি দুর্দান্ত টোনার হিসাবেও কাজ করে যা আপনার ত্বকের লোমকূপের গোড়া পরিষ্কার করে। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে।

চুলের জন্য উপকারী

ভাতের মাড়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ডি এবং ই। এসব উপাদানই ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। ভাতের মাড় দিয়ে চুল ধুলে তা আরো ঝলমলে হয় ও চুলের বৃদ্ধি আরো বাড়ে। ২০১০ সালের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চুলে ভাতের মাড় ব্যবহারের ফলে এর বৃদ্ধি বাড়ে। শুধু তাই নয়, চুল আরো চকচকে হয়ে ওঠে। চুলে ভাতের মাড় ব্যবহারের পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। এরপর একটি হালকা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঘরেই হয়ে গেল আপনার হেয়ার স্পা!

শক্তিবর্ধক 

ভাতের মাড়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট। যা এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভাতের মাড় গ্রহণের ফলে শরীর সহজেই তা শক্তিতে রূপান্তরিত করে। এনার্জিবর্ধক বিভিন্ন পানীয়র চেয়ে ভাতের মাড়ে ভরসা রাখুন, উপকৃত হবেন।

আরো উপকারিতা রয়েছে

ডায়রিয়া নিরাময় থেকে শুরু করে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ অবধি সব ধরনের সমস্যার সমাধান রয়েছে ভাতের মাড়ে। এমনকি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই পানীয় বিরাট ভূমিকা রাখে। এটি গ্রীষ্মকালীন একটি দুর্দান্ত পানীয় যা শরীরকে মুহূর্তেই শীতল করে তোলে। যাদের শরীরে জ্বালা-পোড়াভাব হয় তারা ভাতের মাড় প্রতিদিন পান করতে পারেন।

শরীরের ক্লান্তি দূর করে

গোসলের পানির সঙ্গে সামান্য ভাতের মাড় বা চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করুন। এটি আপনার শরীরের তাপ ও ক্লান্তি দূর করবে। মুহূর্তেই আপনি সতেজতা অনুভব করবেন। পাঁচ মাসের বেশি বয়সী শিশুদের খাবারের তালিকায় ভাতের মাড় রাখা যেতেই পারে।

সূত্র: ফেমিনা

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা