• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ব্যস্ত সময় পার করছেন লাল-সবুজের ফেরিওয়ালারা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯  

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তাজা প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে এ মাসে বাঙালি জাতি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক বহন করে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।

বিজয়ের মাসে সরকারি-বেসরকারি অফিস, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়ির ছাদ, যানবাহনের সামনে-এমনকি গ্রামাঞ্চলে বাইসাইকেলের সামনেও জাতীয় পতাকা ওড়ান অনেকেই। এজন্য বিজয়ের মাস এলেই দেশজুড়ে জাতীয় পতাকার চাহিদা বেড়ে যায়।

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহরের বটতলী, রেলগেট, মুক্তিযোদ্ধা চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে জাতীয় পতাকা বিক্রি শুরু করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবে এদের অনেকেই ব্যবসায়ী হিসেবে নয়; মানুষের মাঝে বিজয়ের চেতনা জাগাতে এ কাজ করছেন বলে তাদের দাবি।

সান্তাহারে পতাকা বিক্রি করতে আসা রফিকুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘বিজয়ের মাস ছাড়া অন্য সময় ফেরি করে কসমেটিক্স বেচাকেনা করি। এ মাসে পতাকার চাহিদা বেশি থাকে। তাই এ কাজ করছি। মাসজুড়ে খদ্দেরের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে যদি দুটি মানুষের মাঝে বিজয়ের চেতনা জাগাতে পারি তাতেই সার্থকতা।’

তিনি গত ৩ বছর ধরে বিজয়ের মাস এলেই লম্বা বাঁশের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত বড় থেকে ছোট আকারের পতাকা সাজিয়ে বিক্রি করতে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে চলেন। জাতীয় পতাকা ছাড়াও তার কাছে পাওয়া যায় হাত ও মাথায় বাঁধার লাল-সবুজের ব্যাচ, বিভিন্ন ধরনের লাল-সবুজের স্টিকার।

পতাকার ক্রেতা মহসীন আলী সবুজ বলেন, ‘ছোট বোনের জন্য পতাকা কিনলাম। বিজয়ের মাসে ছোটদের হাতে পতাকা তুলে দিলে তাদের মাঝেও বিজয়ের চেতনা বোধ জাগ্রত হয়। স্বাধীনতা সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়ে।’

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী বলেন, ‘যারা বিজয়ের মাসে ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করে; তারা মানুষের মাঝে বিজয়ের চেতনা জাগিয়ে তুলতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাদের সাধুবাদ জানাই।’

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা