• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বোমা হামলার বর্ণনা দিলেন শামীম ওসমানের স্ত্রী

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০১৯  

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমি দেশে ছিলাম না। আমি কানাডায় ছিলাম। আসলে আমাদেরকে থাকতে দেয়া হয়নি। ২১ আগস্টের আমার বাসার ল্যান্ডফোনে ফোন আসে। ফোন করেছিলেন সজিব ওয়াজেদ জয়।’

আমি বললাম আপা কেমন আছে? উত্তরে জয় বললেন, ‘মা ভালো আছে।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে আয়োজিত আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের সহধর্মীনি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি এসব কথা বলেন।

বুধবার বিকালে সদর উপজেলা মিলনায়তনে ওই মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন লিপি ওসমান। এ সময় তিনি ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জে ঘটিত বোমা হামলার দৃশ্য তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা বারী সাহেদ, সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, পরিচালক সদস্য প্রফেসর ডা. শিরিন বেগম, নাসিক নারী কাউন্সিলর শারমীন হাবিব বিন্নী , ইসরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ।

লিপি ওসমান বলেন, ফোনে কথা বলে আমি সেখানেই বসে পড়ি। নারায়ণগঞ্জের ১৬ জুনের সেই বোমা হামলার ঘটনা আমার মাথায় ঘুরছিল। আমি উপস্থিত হয়েছিলাম সেই রক্তাক্ত স্থানে যেখানে পড়েছিল নিহত মানুষগুলো। আমি যখন নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতাল দিয়ে হাঁটছিলাম কারো হাতের অংশ কারো আঙ্গুল কারো পা সরিয়ে দিয়ে রাস্তা করে দেয়া হচ্ছিল।

লিপি ওসমান বলেন, আমার স্যান্ডেলের সোল রক্তের নিচে ডুবে যাচ্ছিল। আমি সেই নৃশংসতা দেখেছি। আধা ঘণ্টার জন্য জানতাম আমি বিধবা হয়েছি। আধা ঘণ্টার জন্য জানতাম শামীম সাহেব ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আমি মেইন রোড দিয়ে দৌড়াচ্ছিলাম।

তিনি বলেন, আমাকে কেউ একজন রিকশায় তুলে আমার বাবার বাড়িতে নিয়ে গেল। আমি তার নাম জানি না। সেখানে গিয়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আধাঘণ্টা পরে আমি জানতে পারি শামীম সাহেব বেঁচে আছেন তিনি হাসপাতালে আছেন। কিন্তু আমাদের অনেকে নাই।

লিপি বলেন, ‘সিএমইচে গিয়ে যখন পৌঁছালাম তার আগে প্রধানমন্ত্রীর (তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী) সঙ্গে আমার ফোনে কথা হলো। তিনি শুধু আমাকে এই কথা বললেন যে ‘শামীমকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হও। যারা এই হামলা করেছে তারা আবার করবে। থেকো না নারায়ণগঞ্জে, তোমার আশেপাশে কারা আছে তাকে দাও আমি ফোনে বলে দিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন শামীম কেমন আছে? আমি বললাম, ‘আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি শ্বাস নিচ্ছে কিন্তু হাত পা আছে কি না আমি দেখিনি।’

‘আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভিপি বাদল ভাই তাকে দিলাম। তিনি ওনাকে নির্দেশ দিলেন। আমরা রাতেই সিএমএইচে চলে গেছি।’

অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার কর্মকর্তা বারী সাহেদ, সোনারগাঁ উপজেলা মহিলা সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, পরিচালক সদস্য প্রফেসর ডা. শিরিন বেগম, নাসিক নারী কাউন্সিলর শারমীন হাবিব বিন্নী , ইসরাত জাহান স্মৃতি প্রমুখ।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা